পুবের কলম,
ওয়েবডেস্ক: সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক কালীঘাটে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বসবেন জুনিয়র
আন্দোলনকারি চিকিৎসকেরা। বৈঠকে যেতে পারেন ১৫ জন চিকিৎসক। তবে আন্দোলনকারিদের দাবি,
৩০ জন চিকিৎসককে নিয়েই
বৈঠকে বসতে চান তারা।
আজ সল্টলেকে আন্দোলনকারি চিকিৎসকদের মাঝে গিয়ে তাদের উদ্দেশে সদর্থক বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাদের ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন
তিনি। তাদের পেশা যে সমাজে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ সেটিও বোঝান তিনি।
এরপরই নিজেদের
মধ্যে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার আগ্রহ জানিয়ে নবান্নে ইমেল করেন
জুনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঠানো ইমেলে বৈঠকের স্থান ও সময় জানতে চাওয়া
হয়েছে নবান্নের কাছে। তার পরে জানা যায় নবান্ন নয়, কালীঘাটে বৈঠক হবে। শনিবার বিকেলের দিকে
আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেলের জবাব দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ
জানিয়েছেন যে ‘খোলা মনে’
বৈঠকের জন্য আজ সন্ধ্যা ৬
টায় সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগেই আরজি কর কাণ্ডে
জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেবার চিকিৎসকেরা বৈঠকের লাইভ
স্ট্রিমিংয়ের দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। কারণ মামলাটি সুপ্রিম
কোর্টে বিচারাধীন, সে কারণে লাইভ
স্ট্রিমিং করা সম্ভব নয়। এর পরেও মুখ্যমন্ত্রী প্রায় দু ঘণ্টার বেশি সময় ধরে
নবান্নে অপেক্ষার পরে চিকিৎসকেরা বৈঠক করেননি। এদিন কালীঘাটে বৈঠক হবে।
এদিন সল্টলেকের
ধরনা মঞ্চে আন্দোলনকারি চিকিৎসকদের মাঝে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নয়, দিদি হিসেবে তিনি এসেছেন। তিনি তাদের একজন
সমব্যথী। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আপনাদের আন্দোলনকে কুর্ণিশ জানাই। আপনাদের দাবি নিয়ে আমি আলোচনা করব। তবে আমি
একা সরকার চালাই না। আমার সঙ্গে চিফ সেক্রেটারি, হোম সেক্রেটারি, ডিজি, পুলিশ সবাই আছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সেইসঙ্গে
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি আছে, আমি চাই না আপনাদের কোনও ক্ষতি হোক। আমি চাই
তিলোত্তমার দোষীরা শাস্তি পাক, আমি দোষীদের
বন্ধু বা শত্রু কেউ নই।