লখনউ, ১৪ সেপ্টেম্বর: জ্ঞানভাপী মসজিদ মুসলিমদের কোনও ধর্মীয় উপাসনালয় নয়। এটি আদপে একটি ‘শিব মন্দির’। কোনও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অকপট মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আদালতের বিচারাধীন একটি বিষয়ে কিভাবে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী? তাহলে কি বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে চাইছেন যোগী আদিত্যনাথ?
বিরোধীদের আরও বক্তব্য, এমনিতেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকে আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, রাজ্যের বিজেপি সরকার তলে তলে এটিকে ‘শিব মন্দির’ প্রমাণ করতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এবার সেটা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকেই বেরিয়ে এল। বিচারাধীন বিষয়টি নিয়ে আদালতের রায় ঘোষণার আগেই তিনি যেভাবে ‘রায়’ দিয়ে দিলেন তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শনিবার বারাণসীর জ্ঞানভাপি মসজিদকে মুসলিমদের উপাসনালয় বলা নিয়ে তার আপত্তি প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে এটি ‘ভগবান শিবের মন্দির’। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে এক অনুষ্ঠানে সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত লোকেরা জ্ঞানভাপীকে একটি মসজিদ বলে, কিন্তু এটি আসলে ‘বিশ্বনাথ’ (শিব) নিজেই।’’
যোগী আরও বলেন, হিন্দু ভক্তরা যখন এটি পরিদর্শনে যান তাঁরা ব্যথিত হন। জ্ঞানভাপীর এই উপাসনালয়ের প্রকৃত পরিচয় ও নাম নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে তা যে তাঁদের সেখানে পূজার্চনার পথেই শুধু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তাই নয় বরং দেশের জাতীয় ঐক্য এবং অখণ্ডতার ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বড় বাধা তৈরি করে। মুখ্যমন্ত্রী রীতিমতো ‘আক্ষেপ’ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমাদের সমাজ যদি অতীতে এই প্রতিবন্ধকতাটি বুঝতে এবং এই সমস্যাটি চিহ্নিত করত তাহলে আমাদের দেশ কখনও উপনিবেশিত হত না।’’