বার্লিন, ১৪ সেপ্টেম্বর: ইসলাম–বিরোধী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে জার্মানিতে। একদিকে দেশটিতে ইসলাম–বিদ্বেষী ঘটনা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনই জার্মানিতে বসবাসরত মুসলিমদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নানা বাধার মুখে পড়ছে। এবার দেশটির আরও একটি ইসলামিক সেন্টারের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। জার্মানির ব্র্যান্ডেনবার্গ রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মিশেল স্টুবগেন, ফার্স্টেনওয়াল্ডে শহরের ‘আল–সালাম’ ইসলামিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করার আদেশ জারি করেছেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, এই কেন্দ্রটি গাজার শাসকদল হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ্য, এই দুই ইসলামিক গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠন বিবেচনা করে বেশিরভাগ ইউরোপীয় রাষ্ট্র। জানা গিয়েছে, ব্র্যান্ডেনবার্গে বন্ধ করে দেওয়া ইসলামিক সেন্টারটি পরিদর্শন করেছে জার্মান নিরাপত্তা বাহিনী। গত বছরের জুলাই মাসে, ইসলামিক কেন্দ্রটিকে জার্মান কর্তৃপক্ষ যায়নবাদ বিরোধী কেন্দ্র হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছিল। এছাড়াও, জার্মানির হামবুর্গ শহর কর্তৃপক্ষ হামবুর্গের ইসলামিক সেন্টারের প্রধান মোহাম্মদ হাদি মুফতাহকে দেশ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা করেছে। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘোষণা করেছে, মুফতেহকে স্বেচ্ছায় জার্মানি ত্যাগ করতে হবে। মোহাম্মদ হাদি মুফতাহ ২০১৮ সালের গ্রীষ্ম থেকেই হামবুর্গ ইসলামিক সেন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি অনুযায়ী, হামবুর্গের স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কেন ইসলামিক সেন্টারের প্রধান হাদি মুফতাহকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি ভাবল জার্মান গোয়েন্দারা তা খোলসা করা হয়নি। জার্মানির অভিযোগ, হামবুর্গ ইসলামিক সেন্টার থেকে দেশে চরমপন্থী ধ্যান–ধারণা প্রচার করা হচ্ছিল।