বিশেষ প্রতিবেদন: হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর এবার হামাসের নতুন নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও হত্যার পরিকল্পনা করছে ইসরাইল। একটি ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, যায়নবাদী ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেথ হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করতে একটি বিশেষ গোয়েন্দা ইউনিট চালু করেছে। ইসরাইলের ১২ নম্বর টিভি চ্যানেল বলেছে, শিন বেথ ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে খুঁজে বের করার কাজে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। বিগত ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এই হামাস নেতাকে হত্যা করাই এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য। ইসরাইলি মিডিয়ার দাবি, গাজা যুদ্ধের শুরুতেই শিন বেথ ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গোপন আস্তানা খুঁজে বের করার জন্য একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করে। তবে ইউনিটটি বিরামহীনভাবে কাজ করেও সিনওয়ারকে খুঁজে বের করতে পারেনি। গাজায় গণহত্যা শুরু করার সময় তেল আবিব হুমকি দিয়ে বলেছিল, তারা সিনওয়ারকে জীবিত কিংবা মৃত ধরে আনবে। ইসরাইলি চ্যানেলটি আরও দাবি করেছে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার বহু আগে থেকে মোবাইল টেলিফোন বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করেন না। এর পরিবর্তে তিনি যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য অনেকগুলো ম্যানুয়াল পদ্ধতির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। হামাসের কমান্ডাররা সেই নেটওয়ার্কে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির মাধ্যমে সিনওয়ারের কাছে খবর পৌঁছে দেন এবং তার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা গ্রহণ করেন। মূলত ওই নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের একক নেতৃত্বে গাজা যুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে। ইসরাইলি মিডিয়ার দাবি, শিন বেথ এখনও পর্যন্ত একাধিকবার ইয়াহিয়া সিনওয়ারের অবস্থান শনাক্ত করে সেখানে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু যতবারই অভিযান পরিচালিত হয়েছে ততবারই সিনওয়ার আগেভাগে তার অবস্থান ত্যাগ করে চলে গেছেন।