মোল্লা জসিমউদ্দিনঃ মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে উঠে আরজিকর মামলা শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের
নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই শুনানি করে। এদিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রাজ্য তথা গোটা দেশ এই মামলার শুনানির দিকে নজর রেখেছে।
সিবিআই রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি এদিন এজলাসে
বলেন, -‘সিবিআই যা রিপোর্ট দিয়েছে তা খুবই উদ্বেগের‘। রিপোর্ট পড়ে তাঁরা বিচলিত বলেও জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
এই মামলার শুনানি পর্বে প্রধান বিচারপতি জানান, -‘ময়নাতদন্তের চালান দেওয়া হয়েছিল কি না? ময়নাতদন্তের পদ্ধতি মানা হয়েছে কি না?
আমরা তদন্ত রিপোর্ট পড়ে দেখেছি যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তদন্তে সেগুলি উঠে এসেছে।
রিপোর্ট পড়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ, -‘সিবিআইয়ের তদন্ত ঘুমিয়ে যায়নি। তারা তদন্ত করছে। তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে‘।
প্রধান বিচারপতি সিবিআই এর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, -‘চার্জশিট জমা দিতে কত দিন সময় লাগবে?’ সিবিআই ধৃতদের গ্রেফতারির ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করার সম্ভাবনা কথা জানায় ।এদিকে, লাইভ স্ট্রিমিং বা সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ নিয়ে রাজ্যের আর্জি করে দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, আমরা সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বলতে পারব না। এটা জনস্বার্থ মামলা।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, -‘এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মহিলা আইনজীবীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভাবমূর্তি রয়েছে। বলা হচ্ছে, আমরা নাকি কোর্টে হাসাহাসি করছি। ধর্ষণ এবং অ্যাসিড হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে‘।
প্রধান বিচারপতি বলেন, -‘নির্যাতিতার বাবা যে বিষয় তুলেছেন, সিবিআইয়ের সেগুলি দেখা উচিত‘। নির্যাতিতার নাম উইকিপিডিয়াকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি।
জনস্বার্থ মামলাকারী বিজয়কুমার সিঙ্ঘলের আইনজীবী
আদালতে বলেন, -‘কলকাতা পুলিশ কেন ২৭ মিনিটের ফুটেজ দিল? বাকি ফুটেজ দিল না কেন?
‘ তাঁর অভিযোগ, সিজার লিস্টে নির্যাতিতার পরনের জিন্স এবং অন্তর্বাস নেওয়া হয়নি।
রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, -‘৭–৮ ঘণ্টার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। সিবিআই ফুটেজ নেওয়ার কাগজে সই–ও করেছে‘।
প্রধান বিচারপতি তখন প্রশ্ন করেন, -‘তাহলে সিবিআই কেন বলছে, ২৭ মিনিটের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে?’ জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, -‘ঘটনাস্থলে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নাম জমা দিতে চাই সিবিআইকে। যাঁদের সেখানে থাকার দরকার ছিল না,
তাঁরাও ছিলেন‘। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে শীর্ষ আদালত জানায়, আরজি কর কাণ্ডে ঘটনার দিন অকুস্থলে কারা ছিলেন, সেই সব নাম জমা দিতে পারবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
একইসঙ্গে সিবিআইকে নির্দেশ, -‘তদন্তের স্বার্থে সেই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআইকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে‘।সিবিআই আধিকারিক সত্যজিৎ সিংহ রিপোর্ট বিচারপতিদের কাছে জমা দেন। রিপোর্ট দেখে বিচলিত সুপ্রিম কোর্ট।
শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, -‘এই রিপোর্ট খুবই উদ্বেগের‘।
আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তে তাড়াহুড়ো করার পক্ষে সায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলেন,-‘তদন্ত শেষ করার এখনও সময় আছে। আমরা সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য আরও সময় দিতে হবে। আমরা সিবিআইকে সময় দিতে চাই। তদন্তে তাড়াহুড়ো করলে যাবতীয় প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে যাবে। যদি সাধারণ মানুষের দাবি মেনে সাত দিনে তদন্ত শেষ করা হয়, তাহলে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে না‘।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, -‘আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন, সেই সব নাম জমা দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের।
নির্যাতিতার পরিবার যে যে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন,তা সব খতিয়ে দেখতে হবে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, -‘তদন্তের স্বার্থে ওই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআইকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। তদন্তে সাহায্য করবে কলকাতা পুলিশও‘।
নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই শুনানি করে। এদিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রাজ্য তথা গোটা দেশ এই মামলার শুনানির দিকে নজর রেখেছে।
সিবিআই রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি এদিন এজলাসে
বলেন, -‘সিবিআই যা রিপোর্ট দিয়েছে তা খুবই উদ্বেগের‘। রিপোর্ট পড়ে তাঁরা বিচলিত বলেও জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
এই মামলার শুনানি পর্বে প্রধান বিচারপতি জানান, -‘ময়নাতদন্তের চালান দেওয়া হয়েছিল কি না? ময়নাতদন্তের পদ্ধতি মানা হয়েছে কি না?
আমরা তদন্ত রিপোর্ট পড়ে দেখেছি যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তদন্তে সেগুলি উঠে এসেছে।
রিপোর্ট পড়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ, -‘সিবিআইয়ের তদন্ত ঘুমিয়ে যায়নি। তারা তদন্ত করছে। তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে‘।
প্রধান বিচারপতি সিবিআই এর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, -‘চার্জশিট জমা দিতে কত দিন সময় লাগবে?’ সিবিআই ধৃতদের গ্রেফতারির ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করার সম্ভাবনা কথা জানায় ।এদিকে, লাইভ স্ট্রিমিং বা সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ নিয়ে রাজ্যের আর্জি করে দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, আমরা সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বলতে পারব না। এটা জনস্বার্থ মামলা।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, -‘এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মহিলা আইনজীবীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভাবমূর্তি রয়েছে। বলা হচ্ছে, আমরা নাকি কোর্টে হাসাহাসি করছি। ধর্ষণ এবং অ্যাসিড হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে‘।
প্রধান বিচারপতি বলেন, -‘নির্যাতিতার বাবা যে বিষয় তুলেছেন, সিবিআইয়ের সেগুলি দেখা উচিত‘। নির্যাতিতার নাম উইকিপিডিয়াকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি।
জনস্বার্থ মামলাকারী বিজয়কুমার সিঙ্ঘলের আইনজীবী
আদালতে বলেন, -‘কলকাতা পুলিশ কেন ২৭ মিনিটের ফুটেজ দিল? বাকি ফুটেজ দিল না কেন?
‘ তাঁর অভিযোগ, সিজার লিস্টে নির্যাতিতার পরনের জিন্স এবং অন্তর্বাস নেওয়া হয়নি।
রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, -‘৭–৮ ঘণ্টার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। সিবিআই ফুটেজ নেওয়ার কাগজে সই–ও করেছে‘।
প্রধান বিচারপতি তখন প্রশ্ন করেন, -‘তাহলে সিবিআই কেন বলছে, ২৭ মিনিটের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে?’ জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, -‘ঘটনাস্থলে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নাম জমা দিতে চাই সিবিআইকে। যাঁদের সেখানে থাকার দরকার ছিল না,
তাঁরাও ছিলেন‘। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে শীর্ষ আদালত জানায়, আরজি কর কাণ্ডে ঘটনার দিন অকুস্থলে কারা ছিলেন, সেই সব নাম জমা দিতে পারবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
একইসঙ্গে সিবিআইকে নির্দেশ, -‘তদন্তের স্বার্থে সেই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআইকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে‘।সিবিআই আধিকারিক সত্যজিৎ সিংহ রিপোর্ট বিচারপতিদের কাছে জমা দেন। রিপোর্ট দেখে বিচলিত সুপ্রিম কোর্ট।
শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, -‘এই রিপোর্ট খুবই উদ্বেগের‘।
আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তে তাড়াহুড়ো করার পক্ষে সায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলেন,-‘তদন্ত শেষ করার এখনও সময় আছে। আমরা সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য আরও সময় দিতে হবে। আমরা সিবিআইকে সময় দিতে চাই। তদন্তে তাড়াহুড়ো করলে যাবতীয় প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে যাবে। যদি সাধারণ মানুষের দাবি মেনে সাত দিনে তদন্ত শেষ করা হয়, তাহলে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে না‘।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, -‘আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন, সেই সব নাম জমা দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের।
নির্যাতিতার পরিবার যে যে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন,তা সব খতিয়ে দেখতে হবে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, -‘তদন্তের স্বার্থে ওই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআইকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। তদন্তে সাহায্য করবে কলকাতা পুলিশও‘।