চেন্নাই, ১৯ সেপ্টেম্বর: রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত স্যুটকেস। মাছি মাছি ভনভন করছে। দুর্গন্ধে দমবন্ধ হওয়ার জোগাড় রাস্তার পথচলতি মানুষের। তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় মানুষ। স্যুটকেস খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। ভিতরে রয়েছে একটি খণ্ড বিখণ্ড দেহ। তামিলনাড়ুর ঘটনা। রাজ্যে যখন আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে রাস্তায় সাধারণ মানুষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকেরা তখন তামিলনাড়ুতে হাড়হিম করা ঘটনা সামনে এল। বৃহস্পতিবার এই তামিলনাড়ুর থোরাইপাক্কামের কাছে স্যুটকেস উদ্ধার হয়। এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্যুটকেসের ভিতরে উদ্ধার হওয়া দেহটি এক মহিলার। নাম দীপা, যিনি ভেলাইয়াম্মাল নামেও পরিচিত ছিলেন। ৩২ বছরের তরুণী মাধভারমের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে দীপা একজন যৌনকর্মী বলে জানা গেছে। নৃশংস খুনের ঘটনায় শিবগঙ্গা জেলা থেকে মণিকন্দন (২৫) নামে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে থোরাইপাক্কামের মেট্টুকুপ্পামের কাছে কুমারান কুদিল এলাকার বাসিন্দারা প্রথমে রাস্তার পাশে একটি স্যুটকেস পড়ে থাকতে দেখেন। অস্বাভাবিক কিছু সন্দেহ হলে তারা স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয়। থোরাইপাক্কাম পুলিশ অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্যুটকেসটি খুলে এক মহিলার টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার করে।
চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৯ টার সময় দেহ উদ্ধার হয়েছে, ওই মহিলা গত তিনদিন ধরে মাদাভারম এলাকা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মণিকন্দনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে জানা গেছে যে দীপা যৌন একজন যৌন কর্মী, একজন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে থোরাইপাক্কামে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মণিকান্দন তাকে যৌনকাজে লিপ্ত করেছিল, কিন্তু টাকা পয়সা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাদ-বিবাদের জন্য এই নৃশংস খুন। চেন্নাইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সিপি চক্রবর্তী এবং আদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পঙ্কার্থীকুমার ঘটনা খতিয়ে দেখছেন।
ঘটনায় রাজ্যে ক্রমবর্ধমান অপরাধের হার নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন ডিএমকে সরকার।