পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ১৪৪টি ওয়ার্ডেই পুনর্নির্বাচনের দাবি করল বিজেপি। এদিন কলকাতার সব কটি ওয়ার্ডেই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে সরব হয় বিজেপি। ১৬টি ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাল সিপিএম। ৪৫টি ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
এদিকে আজ পুরভোট শুরু হতে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়ে বিভিন্ন বুথে। বোমার আঘাতে জখম হন এক ভোটার। বুথে এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ, ধাক্কাধাক্কি থেকে চড়, থাপ্পড় কিল, ঘুসি, চড় সবই চলে। কোথাও আবার সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, এই অবস্থার কথা বিবেচনা করেই ভোটে বাহিনীর দাবি জানিয়েছিলেন তারা। কলকাতা পুলিশের পক্ষে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে অবরোধের ডাক দেয় বিজেপি। দুপুর ১টা থেকে রাজ্যজুড়ে অবরোধের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সল্টলেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে উত্তেজনা। দলীয় বৈঠক চলাকালীনই শুভেন্দুর সল্টলেকের বাড়ি পুলিশ ঘিরে ফেলে বলে অভিযোগ। ভোট মিটতে ওঠে পুলিশি প্রহরা। রবিবার ভোট চলাকালীনই সল্টলেকে নিজের বাসভবনে দলীয় বিধায়কদের একটি বৈঠকে ডেকেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বাড়ি থেকে বের হতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুভেন্দুর সঙ্গে বচসাও বাঁধে পুলিশের। এইদিন শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন অর্জুন সিংও।
পুরভোট চলাকালীন কোনও বাইরের কোনও জনপ্রতিনিধি কলকাতায় ঢুকতে পারবেন না এই মর্মে আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুলিশকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগ এইদিন এমএলএ হস্টেলের গেটেও তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। ভেতরে আটকে থাকা ১২ জন বিধায়ককে বেরতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ খুব ভালোভাবে সব কাজ করেছে। বিজেপির অশান্তির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘ভোটে লড়তে পারছে না। তাই এখন নাটক করছে। ও সব ইগনোর করুন।’
অন্যদিকে একইভাবে পুরভোটে অশান্তির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূল কোথাও কোনও অশান্তি করেনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অশান্তির ফুটেজ এনে দেখাতে পারলে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল’।