পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লির বুরারি ঘটনার পুনরাবৃত্তি মহারাষ্ট্রের ধুলোতে। মৃত্যুর চারদিন পর বাড়ি থেকে উদ্ধার চারজনের পচাগলা দেহ। একই পরিবারের সদস্য মৃতরা। মৃতদের মধ্যে রয়েছে স্বামী, স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তান। জানা গেছে, মৃতরা হলেন প্রবীণ গিরসে, স্ত্রী গীতা এবং দুই সন্তান মিতেশ ও সোহম।
মৃত প্রবীণ গিরসে একজন রাসায়নিক সার বিক্রেতা ছিলেন।স্ত্রী গিতা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ধুলে জেলার প্রমোদনগরের বাসিন্দা ছিলেন তারা। চারদিন ধরে ঘর বন্ধ থাকার ফলে বাড়ির পরিচারিকা এসে ফিরে যান। চারদিন পর কোনও খোঁজ-খবর না পেলে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। খবর দেন প্রবীণের বোন সঙ্গীতাকে। বৃহস্পতিবার তিনি স্থানীয়দের সাহায্যে দাদার বাড়ির দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন। খুলে দেখতেই বীভৎস চিত্র তাঁদের সামনে ভেসে উঠে। প্রবীণ ঝুলন্ত অবস্থায় পচে গেছে অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী ও দুই নাবালক ছেলের দেহ মেঝেতে পড়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশ’কে। পুলিশ এসে দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, গীতা ও সন্তানদের পেটে বিষ জাতীয় দ্রব্য পাওয়া গিয়েছে। আত্মহত্যা নাকি খুন! এখনও তা জানা যায়নি। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না বলেই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
২০১৮ সালে ১ জুলাই দিল্লির বুরারির চুন্দাওয়াত পরিবারের ১১ জন সদস্যের দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। আত্মহত্যা করেছিল বলেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল। তবে তদন্ত নেমে পুলিশ সাইকোসিস ও শেয়ার্ড ডিলিউশন সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে। মহারাষ্ট্রতেও তেমন কিছু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।