পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কলকাতার পুরনির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ হবে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে শহরের স্পর্শকাতর বুথগুলি। ভোট গ্রহণের জন্য মোট ৪৯৫৯টি বুথের ব্যবস্থা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৩৯টি বুথকে ‘স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্নিত করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে সব থেকে সংবেদনশীল বোরো ৭। স্পর্শকাতর বুথ সবথেকে কম ১৩ নম্বর বোরোয়। এখানে এরকম বুথের সংখ্যা ২২টি। কলকাতা পুরসভা এলাকার ১৬টি বরোতেই কমবেশি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। এই সব বুথে সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থায় জোর দিয়েছে কমিশন।
১৪৪টি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি কলকাতা পুর এলাকায় এ বার মোট ভোটার ৪০– ৪৮–৩৫২ জন। সবচেয়ে বেশি ভোটার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ৯৫–০৩৮ জন। সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছেন ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানে ভোটার সংখ্যা ১০–০৩৩। কলকাতায় ওয়ার্ড পিছু গড় ভোটার ২৮–১১৪ জন।
কলকাতা পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী– মোট ৫ হাজার বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ১–১০০টি। সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল বুথ রয়েছে বোরো ৭ এ। সেখানে মোট ৫৮৭টি বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ২৫০টি। এই সব বুথে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটির নকশা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জমা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশের কাছ থেকেই এই রিপোর্ট আসতেই রাজ্যের মুখ্যসচিব– স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্য পুলিশের ডিজি– জেলাশাসককে নির্দেশিকা পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে– বুথ দখল বা রিগিং রুখতে সশস্ত্র বাহিনীকে তৈরি থাকতে হবে। এর সঙ্গে ভোটারদের যাতে কোনওভাবে প্রভাবিত করা না হয়– তা নজর রাখতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকেই। এছাড়া সব রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর গাড়ি চলাচলেও থাকছে বিধিনিষেধ। সেক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হবে তাদের। বাইক মিছিলের ওপরও জারি থাকছে নিষেধাজ্ঞা।