নয়াদিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর: দেশের মানুষকে পেনসন স্কিমে একছাতার তলায় আনতে বড়সড় উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই মতো ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে ‘এনপিএস বাৎসল্য প্রকল্পে’র কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। গত বুধবার সেই প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এনপিএস বাৎসল্য প্রকল্প কি? এই বিশেষ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন নাবালক সন্তানেরা। এনপিএস বাৎসল্য হল শিশুদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আনা নতুন পেনশন স্কিম, যেখানে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন। সন্তান সাবালক হওয়ার পরে তা সরাসরি বদলে যাবে সাধারণ এনপিএসে। পেনশন ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক পিএফআরডিএ-র তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি পরিচালিত হবে। এর একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম-এর আওতায় থাকবে এনপিএস বাৎসল্য সদস্যরা। স্কিমের সম্পর্কে বিস্তারিত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নয়া নাবালক সদস্য বা গ্রাহকদের পার্মানেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাকাউন্ট নাম্বার (PRAN) কার্ড বিতরণ করা হয়। সারা দেশে প্রায় ৭৫ টি স্থানে একযোগে এনপিএস বাৎসল্য প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই নয়া উদ্যোগ শিশুদের আর্থিক ভবিষ্যত সুরক্ষা করতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পটি চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ প্রদান সহ দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ নিশ্চিত করার গ্যারান্টি দেবে। এনপিএস বাৎসল্য প্রকল্পে শিশুদের ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য অবিভাবকদের তাঁদের শিশুর নামে বার্ষিক ন্যূনতম ১০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করতে হবে।
যে দিন অ্যাকাউন্ট খোলা হবে, সেই তারিখ থেকে ৩ বছর পর জমানো টাকার একটা অংশ তোলা যাবে। শিশুর নামে জমানো ওই টাকার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত তুলতে পারা যাবে। শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে, এটিকে একটি স্ট্যান্ডার্ড এনপিএস অ্যাকাউন্টে রূপান্তরিত করা যেতে পারে। এই প্রকল্পটি পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীনে পরিচালিত হবে। চাইলে প্রকল্পটি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চালানোও যাবে। ব্যাংক, ডাকঘর ও অনলাইনে কেনা যাবে এনপিএস বাৎসল্য। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এনপিএস থেকে আয় বাজারে চালু জমা প্রকল্পগুলির তুলনায় ভালো। এখানে লগ্নি করে অর্থ সঞ্চয়ের পাশাপাশি ভবিষ্যতের আয়ও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।