পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফিলিস্তিন–ইসরাইল যুদ্ধ এখনও থামেনি। রক্তপিপাসু ইহুদি সেনাদের হামলায় এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি ‘শহিদ’ হয়েছেন। মৃতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। যুদ্ধ–বন্ধ করার জন্যে বিশ্ব দরবার থেকে অনুরোধ করা হলেও হামলা জারি রেখেছে নেতানিয়াহুর সেনাবাহিনী। এই আবহে ইন্ডিয়া– ইসরাইল
বিজনেস সামিট বাতিল করার আহ্বান জানালো বিশ্বের বহু পড়ুয়া। জানা গেছে, ১৩০০ বেশ শিক্ষার্থী এবং ফ্যাকাল্টি মেম্বার এই সামিট বাতিল করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। শুধু ভারতের না বিদেশের বহু পড়ুয়া মিটিং বাতিলের জন্য চিঠি লিখেছে। বলা বাহুল্য, আজ ‘ইন্ডিয়া–ইসরাইলের বিজনেস সামিট’ হওয়ার কথা আছে। চিঠিতে বিশ্বের নানা প্রান্তের পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, এই সামিট সফল হওয়া মানে ইসরাইলকে সমর্থন করা। তারা ফিলিস্তনের বিরুদ্ধে যে গণহত্যা চালাচ্ছে তাঁর সমর্থন করা। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের ডিরেক্টর গোবিন্দন রঙ্গরাজান’কে দেওয়া চিঠিতে তারা আরও লিখেছেন , ইসরাইল গাজার প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলি টার্গেট করে করে শেষ করে দিচ্ছে। ফের সে দেশে পোলিওর মতো রোগের পুনরুত্থান ঘটেছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৯৬ শতাংশ গাজাবাসী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন। এই অবস্থার মধ্যেও কোনও ভাবেই যুদ্ধ থামাচ্ছে না ইহুদি বাহিনী।
উল্লেখ্য, থিঙ্ক ইন্ডিয়া
(ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এবং মাইসোর ল্যান্সার্স হেরিটেজ ফাউন্ডেশন)
নামে একটি সংস্থা শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। থিঙ্ক ইন্ডিয়ার দাবি ভারত ও ইসরাইলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য,
বিনিয়োগ,
প্রতিরক্ষা ,সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপ এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, টেকসই ও জল প্রযুক্তি ইত্যাদি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সভায় আলোচনা হবে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে প্রতিষ্ঠানটি
ইভেন্টটি স্পন্সর এবং হোস্টিং করছে। উল্লেখিত চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা
রঙ্গরাজনকে ইভেন্টটি বন্ধ করতে এবং ইন্ডিয়ান
ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের প্ল্যাটফর্মটিকে ব্যবহার না করতে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এই সামিটের অনুমতি মানে, ফিলিস্তিনে চলা ইসরাইলের
জেনোসাইড এবং ঔপনিবেশিকতাকে বৈধতা দেওয়া।