পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আপাতত বৃষ্টি বিদায় নিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে– আগামী পাঁচ দিন অন্তত কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বৃষ্টি না হলেও আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে আকাশ হালকা মেঘলা থাকবে। সপ্তাহান্তে শীতের আমেজ ফিরবে রাজ্যে। কমবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যদিও পুরোপুরি শীত আসতে দেরি আছে বঙ্গে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর– আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। স্বাভাবিক কিংবা স্বাভাবিকের উপরে থাকবে রাতের তাপমাত্রা।
১১ তারিখের পর দু’তিন দিনের জন্য রাতের তাপমাত্রা একটু একটু করে কমবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। পূবালি হাওয়ার প্রভাব কমবে বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। আগামী কয়েকদিন শুষ্ক আবহাওয়া রাজ্যে। জাঁকিয়ে শীতের জন্য আরও সপ্তাহ দুই অপেক্ষা করতে হবে কলকাতাবাসীকে।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার উন্নতি ঘটলেও উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে বৃষ্টি যন্ত্রণা জারি থাকছে। দার্জিলিং– কালিম্পং– কোচবিহার– জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই। বাকি জেলায় শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে। শুষ্ক আবহাওয়া উত্তরবঙ্গেও। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার তারতম্যে জলীয়বাষ্প থাকায় কুয়াশা হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর– আপাতত নিম্নচাপ খুব দুর্বল ভাবে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশ উপকূলের উপর অবস্থান করছে। সময় এগোনোর সঙ্গে আরও দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের উপর চলে যাবে। সেখানেই হতে পারে আরেক প্রস্থ ঝঞ্ঝা। তবে পশ্চিমবঙ্গে আর নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে না তেমন। আশা করা হচ্ছে– আগামী ১১১২ ডিসেম্বর নাগাদ পারদ নামকে পারে ১৬ ডিগ্রিতে। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৪ ডিগ্রী। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৮ মিলিমিটার। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চাষবাসের জমিতে। রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে হুগলি– বর্ধমান ও নদিয়া জেলায়।