পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ধাপে ধাপে তৃণমূল কংগ্রেসকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে উপস্থাপনের জন্য কোমর বেঁধে লড়াইয়ের ময়দানে রাজ্যের শাসকদল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই প্রস্তুতিতে শান দেওয়া শুরু হয়েছে অনেক আগেই। রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শাসকদল তাদের রূপরেখা স্পষ্ট করতে শুরু করেছে। সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল তাদের শক্তি বাড়ানোর দিকেই মন দিয়েছে।
সোমবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে তৃণমূলের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের সাংবিধানিক রূপরেখার পরিবর্তন করা হবে। কিভাবে এই পরিবর্তন আনা হবে, তাতে কি কি থাকবে তা নিয়ে এদিন ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পার্টির ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। কিন্তু এই ওয়ার্কিং কমিটির মেম্বার বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন দলের সাংবিধানিক সংশোধন। কারণ শুরুর দিন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যের সংখ্যা ছিল ২১ জন। এবার সেই সংখ্যা বাড়তে চলেছে।
দলের ওয়ার্কিং কমিটিতে জায়গা পাবেন মণিপুর, অসম, ত্রিপুরা, গোয়া, উত্তর প্রদেশ হরিয়ানা বিহার, তামিলনাড়ু ও অন্যান্য রাজ্যের সদস্যরা। আর এটা নিশ্চিত করতেই সাংবিধানিক সংশোধন করা হবে।
এদিন কালীঘাটে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িতে দলের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন এ রাজ্যের ওয়ার্কিং কমিটির ২১ জন সদস্য। এছাড়া ছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া দলের নেতা পবন বর্মা, মুকুল সংমারা।
বৈঠকের শুরুতেই সদ্যপ্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এরপর একে একে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী।
এদিনের এই বৈঠককে ঐতিহাসিক বলেছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া পবন বর্মা। তিনি বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র মুখ। তাকে সামনে রেখেই ২০২৪-এ লড়াই হবে। আজ দেশের যা অবস্থা তাতে এটা স্পষ্ট সারা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে সবাইকে আন্দোলনে নামতে হবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এই দ্বায়িত্ব নিতে হবে।
দলের অপর জাতীয় মুখপাত্র, ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সংবিধান অনুযায়ী ২১ জন সদস্য রয়েছেন। সংখ্যা বাড়ানো হবে। নেত্রীকেই সেই দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন বেশ কয়েকজনকে কমিটিতে নেওয়া হবে। এখন যারা কমিটিতে রয়েছে তাঁরা সকলেই প্রায় বাংলার। কিন্তু দল বড় হচ্ছে। ফলে মেঘালয়, হরিয়ানা সহ অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো হবে ওয়ার্কিং কমিটিতে।
তিনি আরও বলেন, বাংলা ভারতবর্ষকে গত মে মাসেও পথ দেখিয়েছে। ২০২৪ সালে সারা দেশকে পথ দেখাবে। তিনি আরও বলেন, দলের সংবিধান পরিবর্তন হবে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের ডিএনএ পরিবর্তন হচ্ছে না।
অতএব একটা জিনিস পরিষ্কার, বিজেপি বিরোধিতার রাস্তা থেকে সরছে না তৃণমূল কংগ্রেস। দেশকে একটা জনহিতকর সরকার দিতে লড়াই করবে তৃণমূল