পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে ১৬ নভেম্বর থেকে খুলেছে স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। কোভিড নির্দেশিকা মেনেই শুরু হয়েছে পঠন পাঠন। আগের পরিবেশ ফিরে পেয়ে, খুশি পড়ুয়ারা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার যানবাহনের ওপরে চাপ বাড়বে। শহরতলী থেকে বহু পড়ুয়াই কলকাতায় পড়তে আসে। কাজেই বড় অংশ লোকাল ট্রেনের ওপরে নির্ভরশীল। সম্প্রতি স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, পড়ুয়াদের ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে কিনা। নাকি তারা যাতায়াতে রেলে ফ্রি পাসের সুবিধা পাবে। কারণ, লকডাউনের সময় থেকে রেলে বিভিন্ন ধরনের কনসেশন বা ছাড় বন্ধ করা হয়েছে। করোনার কারণে রেলের সব পাস বন্ধ হয়ে আছে।
তবে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়ারা যে পদ্ধতিতে ফ্রি পাস পেতেন, এবারও সেই একই পদ্ধতিতে ফ্রি পাস পাবেন। রেলের তরফে জানা গেছে, আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষরা রেলের কাছে পাসের জন্য আবেদন করতেন। রেল সেই মতো ফর্ম দিত, যা নিয়ে পড়ুয়ারা স্টেশনের বুকিং কাউন্টারে এসে ফ্রি পাস নিতেন। স্কুল ও কলেজের সেই ফর্ম শেষ হলে পুনরায় আবেদন করে আবার তা সংগ্রহ করত কর্তৃপক্ষ। লকডাউনের আগে দেওয়া ফর্ম থাকলে স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষ তা পড়ুয়াদের দিতে পারেন। শেষ হলে কাউন্টার পার্ট জমা দিয়ে ফের ফর্ম নিতে হবে তাঁদের। প্রতিটি স্কুল, কলেজ এই সুবিধা পায়। রাজ্যের একাধিক স্কুলের শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, ফ্রি পাসের কনসেশনের ফর্ম এখনও পড়ে আছে। সেইগুলি দেখতে হবে।
রাজ্যের নির্দেশাবলিতে বলা হয়েছে, যেসব পড়ুয়া রেলে যাতায়াত করে, পাস দরকার তাদের ফ্রি পাসের জন্য স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত আবেদনের প্রতিলিপি দেবে। যা দেখিয়ে রেলের থেকে ফ্রি পাস নিতে পারবে পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মেট্রোর ক্ষেত্রেও তারা এই ছাড় পাবে কিনা তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৬ মাস পর লোকাল ট্রেন চালানোয় গ্রিন সিগনাল দেয় নবান্ন। রাজ্য সরকারের অনুরোধেই এরাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ ছিল। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় ৫ মে লোকাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে দু’সপ্তাহের জন্য লোকাল ট্রেন বন্ধ করা হয়। পরে দফায় দফায় ট্রেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়।