পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আজ হচ্ছে না পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা। এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টা নির্বাচন কমিশনারের বৈঠক হয়। তার পরেই পটভূমিকার পরিবর্তন হয়।
সূত্রের খবর, ‘এক সময় সব পুরসভায় ভোট চান রাজ্যপাল’। কাল হাইকোর্টের মামলার শুনানির পরে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার সম্ভাবনা।
বৈঠকের পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে ট্যুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ট্যুইটে রাজ্যপাল লেখেন,’ নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে কমিশনকে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের অঙ্গ নয়। ক্ষমতা আছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতোই ক্ষমতা আছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। রাজ্য সরকারের আইনের দ্বারা চলে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন’।
উল্লেখ্য, কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগম সহ রাজ্যের প্রায় ১১২টি পুরসভা এলাকায় ভোট বাকি রয়েছে। করোনার জন্য থমকে ছিল ভোট-প্রক্রিয়া। এবার সংক্রমণ কমতেই ফের ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার আগেই মঙ্গলবার রাজভবনে নির্বাচন কমিশনারকে তলব করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন ভোটের ফেজ নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে খবর।
কমিশন সূত্রে খবর– তারা কয়েকটি পর্বে ভোট করাতে চায়। কিন্তু রাজ্যপাল দাবি করেন– একসঙ্গেই সব পুরসভায় ভোট করাতে হবে। এই দুইয়ের মধ্যে টানাপোড়েনে মঙ্গলবার ঘোষিত হয়নি কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটের দিনক্ষণ।
এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়। তারপরই জানা যায়– এদিন দুই জেলার পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হচ্ছে না আজ। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির পরে দিন ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনে ১৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ ও ২২ ডিসেম্বর গণনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে হওয়ার দাবিতে হাইকোর্টে আগেই মামলা করেছিল বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতে সোমবার হাইকোর্টে পুরভোট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হলফনামা জমার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সর্বদল বৈঠকও করে কমিশন।
সোমবারের সর্বদল বৈঠকে শাসকদল তৃণমূল ছাড়াও বিজেপি– বাম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। বিরোধীরা দাবি জানান, সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করাতে হবে। এবার সেই সুরই শোনা গেল রাজ্যপালের গলায়।