পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ নারদ মামলায় অন্তর্বতী জামিন পেলেন ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শোভনের সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে হাজিরা দেন মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আদালতে হাজিরার পর ২০ হাজার টাকার বন্ডে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয়। শর্ত কেউ দেশ ছাড়তে পারবেন না।
এদিন তিনজন হেভিওয়েট হাজিরায় এলেন, আদালতে উপস্থিত হননি অভিযুক্ত আইপিএস সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা অনুপস্থিত ছিলেন।
কেন তিনি আসেননি, সে প্রশ্ন তোলে ইডি। তাদের দাবি, মির্জার জামিন বাতিল করা হোক। ইডি-র তরফে আদালতে সওয়াল জবাবে প্রশ্ন তোলা হয় তিনজন হাজিরা দিলেও মির্জা কেন আসেননি। অন্তর্বর্তী জামিন আছে মানেই আসবে না এটা হতে পারে না। এই বিষয়ে আগে থাকে তাদের কিছু জানানো হয়নি বলেও আদালতে সওয়াল করে ইডি।
ইডির তরফ থেকে বাকিদের জামিনেরও বিরোধিতা করা হয়। এই কেসে অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরও এদিন ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়। অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে সাগর মেলার পরে যে কোনও দিন মামলা রাখার কথা বলা হয়। অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়, যে কোনও দিন সমনে তাঁরা হাজিরা দেবেন।২৮ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আদালত থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে এদিন শোভন বলেন, “আমাদের ইশ্বরে বিশ্বাস আছে। আইনের ওপর বিশ্বাস রয়েছে। বিচার ব্যবস্থার ওপর আমার আস্থা রয়েছে। আজ আমরা একটা পদক্ষেপ এগোলাম। সেদিনও বৈশাখী আমার পাশে ছিল আজও আছে। আমরা যেদিন ইডি দফতরে গিয়েছিলাম, সেদিনও ছিল, আজও রয়েছেন। আমাদের লড়াই এক সংগ্রাম। আমাদের কারোর প্রতি কোনও শত্রুতা নেই। শোভন বলেন, বহু ঝড় গেছে। কেউ বুঝে করেছেন, কেউ না বুঝে ধারণা করেছেন। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি যেভাবে পাশে থেকেছেন’। এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বলতে শোনা যায়, শোভনের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা আছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নারদ স্টিং অপারেশনকে কেন্দ্র করে উথালপাথাল রাজ্য-রাজনীতি। সামনে আসে ম্যাথু স্যামুয়েল। স্টিং অপারেশনের ফুটেজ অনুযায়ী, তৃণমূলের ১২ জন মন্ত্রী, নেতা ও এক আইপিএস অফিসার ঘুষ নিচ্ছেন।
২০১৪ সালে স্টিং অপারেশনটি করেন নারদ নিউজ পোর্টালের সিইও ম্যাথু স্যামুয়েল। ১২ তৃণমূল নেতা এবং এক আইপিএস-এর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির সদর দফতরে দেখানো ফুটেজ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। যে সব নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তারা হলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, শঙ্কু দেব পণ্ডা ও আইপিএস এমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।