কলকাতাFriday, 5 November 2021
  1. আজকের শিরোনাম
  2. ইতিহাস-ঐতিহ্য
  3. ক্রাইম
  4. খেলা
  5. জেলা
  6. দেশ
  7. ধর্ম ও দর্শন
  8. পর্যটন
  9. ফোটো গ্যালারি
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব-জাহান
  14. ব্লগ
  15. ভ্রমণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এক বর্ণময় জীবনের সমাপ্তি, দিকশূন্যপুরের যাত্রায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়

mtik
November 5, 2021 3:38 pm
Link Copied!

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাজনৈতিক জগতের এক দাপুটে নেতা, উজ্জ্বল সদা হাস্যময় ব্যক্তিত্বের প্রয়াণ। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না, তাঁর সহকর্মী থেকে বিরোধীপক্ষরা।

রাজনৈতিক দাপটের আড়ালে লুকিয়ে ছিল তার সদা হাস্যময় স্বভাবটি। মাঝে মধ্যে সেটি প্রকাশ্যে আসত। সেটা দেখার সৌভাগ্য হয়তো হত তার অনুগামীদের।

সত্তরের দশকে ছাত্র রাজনীতির উজ্জ্বল নেতা ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) । দিল্লির রাজনীতিতে কোনওদিন সরাসরি অংশ না নিলেও ছাত্র জীবনেই ডাকসাইটে এই নেতা খোদ  শীর্ষনেত্রী ইন্দিরা গান্ধির স্নেহের পাত্র হয়ে ওঠেন। দলের কনিষ্ঠ নেতাকে নিজের সংগ্রহ থেকে একবার অমূল্য ও দুলর্ভ একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধি (Indira Gandhi) । যাতে রয়েছে রাজেন্দ্র প্রসাদ, জহরলাল নেহেরু সহ একাধিক নেতার স্বাক্ষর। সেখানে রয়েছে স্বয়ং মহাত্মা গান্ধিরও আর্শীবাদ বাণীও।

ইন্দিরার স্নেহধন্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে একসময়  মস্করা করে এও বলতে শোনা গিয়েছে , যে তাঁর মান ভাঙাতে লোক পাঠাতেন ইন্দিরা গান্ধি’। ইন্দিরা গান্ধির প্রয়াণে সর্বদা রাজীব গান্ধির (Rajib Gandhi) পাশে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। 

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ আসলেই আসে প্রিয়রঞ্জন  দাসমুন্সির নামও। সত্তরের দশকে বাংলার রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ছিলেন প্রিয়-সুব্রত। এই জুটির তৃতীয় কোণ ছিলেন সোমেন মিত্র। ডানপন্থী রাজনীতির জনপ্রিয় ত্রয়ী প্রিয়-সোমেন-সুব্রত।

ষাটের দশকে কংগ্রেসী ঘরানার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। জীবন সংগ্রাম শুরু হয়েছিল ছাত্র রাজনীতি দিয়েই। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গেই উত্থান তার। ১৯৭২-১৯৭৭ তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন।  কাজ করেছেন সিদ্ধার্থশংকর রায়ের সঙ্গে। কলকাতার ৩৬ তম মেয়র তিনি।

২০০০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত মেয়র পদে বহাল ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গেও সুব্রত মুখোপাধ্যায় যোগাযোগ ছিল নিবিড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতিতে আনার পিছনে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন অন্যতম কাণ্ডারী।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের সারেঙ্গাবাদের ছেলে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কলকাতায় অ্যানথ্রোপলজিতে বিএসসি নিয়ে ভর্তি হন বঙ্গবাসী কলেজে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিওলজি-তে মাস্টার্স। এর পর পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা মিউসিওলজি বা মিউজিয়াম স্টাডিজে।

১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে, সুব্রত মুখোপাধ্যায় বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে তিনি তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। স্থানীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও তিনি তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। তবে তিনি বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত হন।  ১৯৮২ সালে তিনি জোড়াবাগান বিধানসভা কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে প্রতিনিধিত্ব করেন।১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায় চৌরঙ্গী থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হন।

১৯৯৯ সালে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সঙ্গে যোগ দেন। ২০০০ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে তিনি কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হন। দক্ষতার সঙ্গে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০১ সালে সুব্রত মুখোপাধ্যায় চৌরঙ্গি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বিধানসভায় নির্বাচিত হন। কলকাতা উত্তর পশ্চিম কেন্দ্র তিনি ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু পরাজিত হন।

২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর, তাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মন্ত্রী করা হয়। ডিসেম্বর ২০১১ সালে, তাকে পঞ্চায়েতি রাজ ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়।