পুবের কলম প্রতিবেদকঃ একদিকে তাঁর প্রশাসনিক রূপ দেখে অভ্যস্ত সারা রাজ্যবাসী– খুব বেশি হলে দার্জিলিংয়ে জগিং দেখাও মানুষের কাছে এখন স্বাভাবিক। কিন্তু বাড়ির পুজোয় এ এক অন্যরূপ। কালীপ্রতিমার সামনে মালা গাঁথা থেকে শুরু করে ভোগ রান্না নানা ভূমিকায় এক অন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দেখল রাজ্যবাসী। নিজের বাড়িতে ১৯৭৮ সাল থেকে কালীপুজোর আয়োজন করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের বাড়ির এই পুজো পারিবারিক এক মেলবন্ধনও। আর সেই পুজোতেই ভোগ রান্না করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কালীপুজোর দিন সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোগ বিলি করা হয়। এবারও সেই ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সব কিছুই করোনা সতর্কতা মেনে। যাঁরা আসছেন– তাঁদের এক এক করে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে– স্যানিটাইজেশন করে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভিভিআইপি থেকে সাধারণ মানুষ সবার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অবারিত দ্বার। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য এবছর পুজো হচ্ছে সতর্কতা মেনে। শাস্ত্রীয় রীতিনীতি মেনে পুজো। উপোস থেকে ভোগ-রান্না– পুজোর তদারকি মুখ্যমন্ত্রী নিজেই করেন।
মমতা যখন ছাত্র রাজনীতিতে ছিলেন– তখনই বাড়িতে কালীপুজো শুরু করেন। সেই থেকে বাড়িতে পুজোর চল। প্রতিবছরের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে কালীপুজো।
সারা বছর তুমুল ব্যস্ততা। গোটা রাজ্যের ভার তাঁর কাঁধে। কিন্তু সেই ব্যস্ততার মাঝেই সময় বের করে নেওয়া বাড়ির কালীপুজোর জন্য।
কালীপুজোর সময় পুরোহিতকে প্রতিমাকে সাজাতে সাহায্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাদা শাড়িতে ভোগ ঢাকা দিতেও দেখা যাচ্ছে মমতাকে। সব মিলিয়ে বাড়ির পুজোয় এক অনন্য মেজাজে দেখা মিলেছে মুখ্যমন্ত্রীর। বাড়ির ছোটদের সঙ্গে খুনসুটি হোক– বা সকল অভ্যাগতদের আপ্যায়ন প্রশাসনিক আভরণ সরিয়ে বহু ভূমিকায় মানুষের কাছে পৌঁছনোর কি নয়া বার্তাই ছিল এই ছবিগুলো– প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলেও।