পুবের কলম প্রতিবেদক: আরজিকর হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটাতে তৎপর কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নিয়ে মামলার শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের তরফে এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে নিতে বলা হয়।
যদিও হাইকোর্টের তরফে এইসমস্ত নির্দেশ হিসেবে নয়, বরং বুঝিয়ে বলা হয়। তবে জুনিয়ার ডাক্তাররা তারপরেও আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিতে রাজি নয় জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাদের বক্তব্য, এর ফলে রোগীদের কোনও রকমের সমস্যা হবে না।
প্রসঙ্গত, এদিন মামলার শুনানিতে প্রথমেই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিনিধি আদালতে না থাকায় আবার দ্বিতীয় হাফে মামলার শুনানি হয়। এর জন্য অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এজলাসের মধ্যেই ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতিরা। নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই আন্দোলনকারীদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের বোঝানো হয়। কিন্তু আন্দোলনকারীরা জানায় যে তারা তাদের বক্তব্য স্বাস্থ্য সচিবকেই জানাতে চায়। তারা প্রিন্সিপ্যালের পদত্যাগের দাবিতে অনড়।
প্রসঙ্গত, ২৯ অক্টোবর ৬ সদস্যের দল স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করবে। সেই বৈঠকে কোনও না কোনও সমাধান পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এদিল রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জুনিয়ার ডাক্তারা যাতে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় সেবিষয়ে আর্জি জানান। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আন্দোলন যে বৈধ নয়, সে কথাও তিনি মনে করিয়ে দেন।
এদিন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাতে এরফলে রোগী পরিষেবা কোনওভাবেই ব্যহত না হয়। রোগীরা যাতে কোনওভাবেই সমস্যার মধ্যে না পরে সেবিষয়েও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আগামী ২ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।