শফিকুল ইসলাম, নদিয়া: কল্যাণীর ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। তার জেরে কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছিল আগুনে ঝলসে যাওয়া দেহ। সেইসঙ্গে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। মৃতদের নাম ভারতী চৌধুরী (৬০), রুমা সোনার (৩৫), অঞ্জলি বিশ্বাস ( ৬০), দুর্গা সাহা (৪০), আহত মহিলার নাম উজ্জ্বলা ভূঁইয়া, বয়স ৩৮।
বিষয়টি নিয়ে আপাতত জেলা প্রশাসন, পুলিশ বা দমকল বাহিনীর তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। আগুন নেভানোর কাজ শেষ হয়েছে । ঘটনাস্থলে যেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কল্যাণীর রথতলার যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখান থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের দূরত্ব বেশি নয়। কল্যাণীর প্রবেশদ্বারও বলা যায়। সেরকম একটা জায়গায় কীভাবে বাজি কারখানা গড়ে উঠল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশাসনের তরফে সেই বিষয় নিয়ে কোনও উত্তর না মিললেও পুরো ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার দুপুরে যে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বাজি কারখানার টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। পুরো কারখানা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সঙ্গে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওর্য়াডের রথতলা এলাকায় একটি বাজি কারখানায় আগুন লাগে। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তিন মহিলা-সহ এক পুরুষের। আহত আরও এক মহিলার। তাঁকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গিয়েছে কারখানাটি। কালো ছাইয়ের স্তূপে পরিণত হয়েছে জায়গাটি। এখনও জ্বলছে কারখানাটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ ও দমকল। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উপস্থিত রয়েছেন রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ সহ পুলিশের একাধিক আধিকারিক।