পুবের কলম প্রতিবেদক: আজ শুরু হচ্ছে দুদিনের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। সেখানে আমন্ত্রিত ভুটানের রাজা থেকে দেশ বিদেশের বড়ো বড়ো শিল্পপতি, রাষ্ট্রদূত সকলে। মঙ্গলবার বাণিজ্য সম্মেলনের প্রাকদিনে চা চক্রে যোগ দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৪০ টি দেশের ২০০ প্রতিনিধিসহ ৫০০০ জন বিশিষ্ট মানুষের অংশগ্রহণ করবেন এই সম্মেলনে। ২৫ টি দেশের রাষ্ট্রদূত যোগ দেবেন। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার সন্ধের চা চক্রে তাঁদের মধ্যে অনেকেই এসে পৌঁছেছেন। সম্মেলনের আগের দিন ইকো পার্কে আয়োজিত এই চা চক্রে মুখ্যমন্ত্রী অতিথিদের সঙ্গে আলাপ পর্ব সেরে নেন।
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে, বিনিয়োগের বার্তায় এই বাণিজ্য সম্মেলন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে মার্কিন দেশের শিল্পপতিরা গোটা দেশের মধ্যে এই রাজ্যেই সেমি কন্ডাকটর হাব স্থাপনে উৎসাহ দেখিয়েছে। এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে মার্কিন প্রতিনিধিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হলে তা মোদি- ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকে নতুন দিশা দেখাতে পারে।
গোটা দেশের মধ্যে লজিস্টিক হাব এবং শিল্প বিনিয়োগের আবহ তৈরিতে এই রাজ্যকেই সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রই। তাই এই শহরের বাণিজ্য সম্মেলনকে সফল করে দেশকেই বিশ্বের দরবারে উচ্চ আসনে তুলে ধরতে চায় রাজ্য। এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে এআই থেকে আই টি, চর্ম থেকে সিমেন্ট বিভিন্ন ধরনের শিল্পে লগ্নির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া হস্তশিল্প নিয়েও প্রদর্শনির আয়োজন থাকছে এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে। বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছোট – বড়ো শিল্পপতি, উদ্যোগপতিরা শহরে অতিথি হিসেবে এসেছেন। আলোচনায় অংশ নিতে এসেছেন বিভিন্ন বণিকসভার প্রতিনিধিরাও।
মঙ্গলবার যাঁরা এসে পৌঁছেছেন শহরের বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এদিন মধ্যরাতেও অনেকে আসবেন। তবে ভুটানের রাজা এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কাছে ছাড়পত্র পাবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
মঙ্গলবারই প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে যোগীর সঙ্গে স্নান করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেশর নামগিয়াল ওয়াঙচুক। এদিন বিকেলেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল তাঁর। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্যঊ ছমাস আগেই তিনি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আসবেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে চা চক্রে যোগদান করার আগে বাণিজ্য সম্মেলনে ভুটানের রাজার যোগদান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন তরফে তাঁকে নিজের বাণিজ্য সম্মেলনে আসার জন্য বাধা দেওয়া হতে পারে আমি নিশ্চিত ভাবে কিছু জানি নাঊ ভুটান আমাদের প্রতিবেশী দেশ। সেই দেশের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান নিয়ে আলোচনার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলামঊ এখন কেন্দ্রের ‘কলকাটি’তে তিনি নাও আসতে
পারেন।
তবে এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দালদের মতো শীর্ষ শিল্পপতিরা আসবেন। এছাড়া দেশ বিদেশ থেকে বহু শিল্পপতি, উদ্যোগপতি, বণিকসভার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন এই বাণিজ্য সম্মেলনে। ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের আসা নিশ্চিত এই বাণিজ্য সম্মেলনে।