পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা করেছে চিন। চিনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের জবাবে মঙ্গলবার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বেইজিং। তারা আমেরিকার পণ্যের উপরেও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চলেছে !
আমেরিকা থেকে চিনে যেসব কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষি সরঞ্জাম ও বড় গাড়ির উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। পাশাপাশি গুগ্লের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনেছে জিনপিংয়ের প্রশাসন। এই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করবে বেজিং। এমনিতে গুগ্ল চিনে সাধারণ ভাবে নিষিদ্ধ। কেবল অংশীদারির ভিত্তিতে কিছু সংস্থার সঙ্গে কাজ করে তারা।
সিদ্ধান্তটি কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতেও শুল্ক বসাচ্ছে তারা। মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়লা আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, খামারের সরঞ্জামাদি ও কিছু যানবাহন আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করবে বেইজিং। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে।
গত শনিবার কানাডা, মেক্সিকো ও চিনা পণ্যে শুল্ক আরোপের আদেশ দেন ট্রাম্প। শনিবার এ-সংক্রান্ত তিনটি পৃথক নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। তবে চিনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হলেও মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। প্রতিবেশী এই দেশ দুটি অবৈধ অভিবাসী ও মাদক পাচার ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় আসার পর ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত নেন।
চিনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আমেরিকার একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মের পরিপন্থী। এটি চিন ও আমেরিকার স্বাভাবিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককেও বিঘ্নিত করে। সে কারণেই আমেরিকাকে শিক্ষা দিতে পাল্টা শুল্ক আরোপের পথে হাঁটছে চিন। অন্য দিকে, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আলোচনা হতে পারে ট্রাম্প-জিনপিংয়ের। আসন্ন ‘বাণিজ্য-যুদ্ধ’-এর আবহে এই প্রথম এত গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আলোচনা হতে চলেছে দুই দেশের।