ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক: ইসরাইলি সেনাবাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে। পশ্চিম তীর জুড়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান হামলা আরও তীব্র হয়েছে। অঞ্চলটি থেকে বল প্রয়োগ করে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর। বৃহস্পতিবার রাতে বুরকিন এলাকায় ইসরাইলি হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত মুহাম্মদ আবু আল-আসাদ ও কুতাইবা আল-শালাবি দীর্ঘক্ষণ ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন। এ নিয়ে জেনিনে তিন দিনের অভিযানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২-তে। প্রসঙ্গত, গাজা ও ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায় ফিলিস্তিনিরা। গাজায় বীরবিক্রমে যায়নবাদীদের রুখে দিয়েছে হামাস যোদ্ধারা। শহিদ হয়েছে ৪৭ হাজার মানুষ। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস শেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পর এবার দুর্বল পশ্চিম তীরকে টার্গেট করেছে ইসরাইল। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের শাসক মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি অথরিটি হামাসের মতো শক্তিশালী নয়। তাই সেখানে ইসরাইলি সেনা ও জবরদখলকারীরা ফিলিস্তিনিদের খুন ও বিতাড়িত করে ভূমি দখল করতে চায়। এটাই যায়নবাদীদের টার্গেট।
পশ্চিম তীরে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এ অভিযানকে দেশটির নিরাপত্তা কৌশলের পরিবর্তন বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, নিহত দুই ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সদস্য। চলতি মাসে কালকিলিয়া প্রদেশের ফুন্দুক গ্রামে ইসরাইলি নাগরিকদের ওপর হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা। সে হামলায় তিনজন ইসরাইলি নিহত ও ছ’জন আহত হয়। ইসরাইল এখনও নিহতদের লাশ হস্তান্তর করেনি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তাদের অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে জেনিনের শরণার্থী শিবির ও আশপাশের এলাকায় হতাহতদের কাছে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে আইডিএফ। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুরকিনে অভিযানের সময় একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে গুলি ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। পরে তা বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়। বুরকিনের মেয়র হাসান সোবহ অভিযোগ করেছেন, ইসরাইলি সেনারা হামলার সময় ফিলিস্তিনি নারীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। সেইসঙ্গে শহরের একটি সরকারি হাসপাতাল অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইলি সেনারা। ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক জুড়ে বেড়েছে দখলদারদের হামলাও।
১৯৫৩ সালে উদ্বাস্তুদের আশ্রয়ের জন্য রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক স্থাপিত জেনিন শরণার্থী শিবির দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি সামরিক অভিযানের নিশানায় রয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাদাভ শোশানি দাবি করেছেন, শিবিরটি থেকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব হামলার উদ্দেশ্য পশ্চিম তীরকে ধীরে ধীরে দখল করা। ফিলিস্তিনি আইনজীবী মোহাম্মাদ দালেহ বলেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় পশ্চিম তীরকে নতুন লক্ষ্য বানিয়েছে ইসরাইল। তারা যেকোনও মূল্যে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যুদ্ধ বজায় রাখতে চায়। রক্তই নেতানিয়াহুর প্রতিদিনের নৈশ আহার!
ব্রেকিং
- ওয়াকফ বিল: সব সংশোধনী বহাল, বিরোধী পক্ষের প্রস্তাব খারিজ করল জেপিসি
- খ্রিস্টান হওয়ায় গ্রামে দাফনে বাধা, ২০ কিমি দূরে দাফনের নির্দেশ শীর্ষকোর্টের
- হামলার অভিযোগ, যুবককে লক্ষ্য করে পুলিশের গুলি
- উত্তরখণ্ড চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি
- আতশবাজি থেকে অগ্নিকাণ্ড, আহত ৪
- জেপিসিতে পাশ ওয়াকফ বিল
- চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প চিন! পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে সরানোর নির্দেশ
- কলকাতা বিমানবন্দরে আত্মঘাতী ইম্ফলের যাত্রী
- সাধারণতন্ত্রের বল জনগণের শক্তিতে, স্মরণ করালেন মুখ্যমন্ত্রী
- সুদানে ভয়াবহ ড্রোন হামলায় নিহত ৬৭
- আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি বাতিল করল শ্রীলঙ্কা