জম্মু,২০ জানুয়ারিঃ অজানা অসুখে ত্রস্ত জম্মু-কাশ্মীর। ইতিমধ্যেই ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জ্বর, মাথায় যন্ত্রণা ও বমির মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। তারপরই ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে। তবে ঠিক অসুখের প্রকোপে এতজনকে প্রাণ হারাতে হয়েছে তা এখনও অজানা । উপত্যকার রাজৌরি জেলার বাধাই গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গত ৭ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট এলাকায় একযোগে ৫ জনের মৃত্যু হয়। তারপর একই পরিবারের ৮ জনের মৃত্যু হয়। মা-বাবা-সহ ৬ সন্তান মারা যায় ওই অশনাক্ত রোগে। আর গত রবিবার ১ কিশোরীর মৃত্যু হলে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ তে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ১১ সদস্যের এক কমিটি গঠন করেছে। সেই দল রবিবারই রাজৌরি পৌঁছেছে। ওই দলটি রবিবার গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করে ।
এদিকে সোমবার তদন্তকারী দলটি জানায় যে, বুধল গ্রামের ওই এলাকায় একটি কুয়োর জলে কিছু কীটনাশক পাওয়া গেছে। রাজৌরি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওই কুয়োটি সিল করার এবং সেখানে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিল মীর এক আদেশে বলেছেন, “বুধল গ্রামের একটি কুয়ো থেকে নেওয়া জলের নমুনায় কিছু কীটনাশকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। এই কুয়োটি থেকে গ্রামের কিছু মানুষ জল সংগ্রহ করে৷ তাই এটা নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো গ্রামবাসী কোনো অবস্থাতেই এই কুয়োর জল যেন ব্যবহার না করে।”
উল্লেখ্য যে, এই বুধল গ্রামে গত ৪৫ দিনে ১৭ অসুস্থ জন হয়ে পড়েন। জ্বর, বমি,গায়ে ব্যাথার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তাঁদের মধ্যে। এই অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় অনেককে। তাঁদের মধ্যেই ১৭ জন চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মারা যান। বহু নমুনা সংগ্রহ করে এই অসুস্থতার কারণ জানার চেষ্টা হয়েছে। রোগের খোঁজে আইসিএমআর, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে শুরু করে ডিআরডিও সহ দেশের তাবড় প্রতিষ্ঠান নেমেছে ময়দানে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নিশ্চিত করেছে যে এই বিষয়ে দেশের কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করা হবে, যাতে মৃত্যুর কারণগুলি সঠিকভাবে বোঝা যায় এবং এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ না থাকে।