ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিল্লি পালিয়ে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আগস্ট থেকে তিনি দিল্লির মেহমানদারিতেই আছেন। বাংলাদেশ সরকার প্রত্যর্পণের আবেদন জানালেও তাতে কান দেয়নি মোদি সরকার। অথচ ইউনূস সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন জয়শঙ্কররা।
এই আবহে নতুন এক জল্পনা ঘুরছে কূটনৈতিক থেকে রাজনৈতিক মহলে। শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কি না—এমনই জল্পনা চলছে। তবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা নেই বাংলাদেশের তদারকি সরকারের। হাসিনার পাসপোর্ট, ভিসা সবই বাতিল হয়ে গেছে। এখন আইনত তিনি অবৈধ ভাবে ভারতে অবস্থান করছেন বলে অনেকের মত।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা দেশটির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কি না সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ ছাড়া তিনি কোন স্ট্যাটাসে আছেন, সেটা ভারত সরকারের বিবেচনাধীন বিষয়।
এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, আপনাদের মতো আমিও এটা (শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো) পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। আমাদের কী করার আছে? হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠির জবাব এখনো ভারত দেয়নি জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে ভারতের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব এখনো পাইনি।