পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মালদহ তৃণমূল নেতা খুনে নাম জড়ানোয় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে দল থেকে বহিষ্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ছয় বছরের জন্য তাঁকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় বুধবারই তাঁকে মালদহ টাউন তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সেদিনও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে পর্যবক্ষেক মহলের দাবি, রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতেই বৃহস্পতিবারই নরেন্দ্রনাথকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
মালদহে তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনে নরেন্দ্রনাথকে ইংরেজবাজার থানায় ডেকে বুধবার ২১ ঘন্টারও বেশি জেরা করা হয়। ধৃত ৫ জনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের মালদহ জেলার টাউন সভাপতিকে। সুপারি দিয়ে খুন করানোর প্রমাণ মেলে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরই বৃহস্পতিবার ছয় বছরের জন্য নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বহিষ্কারের কথা জানান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি। সঙ্গে ছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, আইএনটিটিইউসি -এর জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল, আশিস কুণ্ডু প্রমুখ। আবদুর রহিম বক্সি জানান, পুলিশ ইতিমধ্যেই দুলাল ওরফে বাবলা সরকার খুন কাণ্ডে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকেই মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করেছেন। জানা গিয়েছে, আরও অনেকে ছিলেন এই অপারেশনে। স্বপন শর্মা নামে একজনের নাম রয়েছে এই ঘটনার নেপথ্যে।
কিন্তু কী কারণে দুলাল সরকারকে খুন করা হয়েছে, সেকথা স্পষ্ট হচ্ছে না। এদিকে অভিযোগ উঠেছে গত এক বছর ধরে দলীয় কাজে নিস্ক্রিয় ছিলেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। এবার তাঁর মৃত্যুতে ইংরেজবাজার শহর তৃণমূল সভাপতি পদটি শীঘ্রই পূরণ করা হবে বলে জানা হয়েছে।
দুলালের স্ত্রী চৈতালী জানান, ঘটনা যা ঘটেছে তা দু-তিন জনের পক্ষে সম্ভব নয়। এর নেপথ্যে আরও বড় মাথা রয়েছে তাঁর স্ত্রী। একই কথা জানিয়েছেন কৃষেন্দু নারায়ণ চৌধুরীও। দলের অন্দরে মানুষদেরই এই ধরনের বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলকে বিধেছে বিজেপির নেতারা। বড় মাথা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, বড় মাথা, মেজো মাা, ছোট মাথা — সব মাথার ওপরে একটাই ছাতা।