পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কানাডায় দিন-প্রতিদিন বাড়ছে স্বেচ্ছামৃত্যুর সংখ্যা। গবেষণা বলছে, কানাডায় প্রতি ২০টি মৃত্যুর মধ্যে একটি মৃত্যু ঘটে স্বেচ্ছায়। অর্থাৎ মেডিকেল সহায়তায়। এ প্রক্রিয়াকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘ইউথানাসিয়া’। ২০১৬ সালে সেদেশে এমন মৃত্যুকে বৈধতা দেওয়া হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর এই প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছামৃত্যুবরণ করছেন প্রায় ১৫,৩০০ মানুষ। কানাডায় ওই বছর মোট যে পরিমাণ মানুষ মারা গেছেন তার মধ্যে শতকরা ৪.৭ ভাগ তারা। বিশ্বে গত এক দশকে মেডিকেল সহযোগিতায় মৃত্যুর আইনকে বৈধতা দিয়েছে অল্প কয়েকটি দেশ। তার মধ্যে অন্যতম কানাডা। অন্যদের মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, স্পেন ও অস্ট্রিয়া। বুধবার হেলথ কানাডা যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মেডিকেল সহযোগিতায় মৃত্যুর হার কানাডায় বেড়েছে শতকরা প্রায় ১৬ ভাগ। তবে এর আগের বছর এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল শতকরা ৩১ ভাগ। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে কেন এই সংখ্যা কমেছে, তার কারণ এত অল্প সময়ের মধ্যে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
Read More: সার্ককে সক্রিয় করতে আহ্বান ইউনূসের
রিপোর্টে বলা হয়, যারা মেডিকেল সহযোগিতায় মৃত্যুর জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন তার মধ্যে শতকরা ৯৬ ভাগেরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বাকি শতকরা ৪ ভাগকে ইউথানাসিয়া পদ্ধতিতে মৃত্যুবরণ করতে সহযোগিতা করা হয়েছে। কারণ, তারা দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে ভুগছিলেন। দৃশ্যত এসব মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু অত্যাসন্ন বলেও মনে হচ্ছিল না। যারা মেডিকেল সহযোগিতা চেয়ে মৃত্যুর আবেদন করেছেন তাদের গড় বয়স প্রায় ৭৭ বছর। তাদের বেশির ভাগের ক্যান্সার। যেসব ব্যক্তি এই পদ্ধতিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন তার মধ্যে শতকরা ৯৬ ভাগই শ্বেতাঙ্গ। এর মধ্যে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগই কানাডার নাগরিক। দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ গোষ্ঠী হলেন পূর্ব এশিয়ার। তারা শতকরা ১.৮ ভাগ।