পুবের কলম প্রতিবেদক: নিজেদের এক্সিকিউটিভ কমিটিকে নতুন করে সাজাচ্ছে মহামেডান স্পোর্টিং। আইএসএলে টানা হার, কোচের ওপর দোষারোপ, ক্লাবের অভ্যন্তরেই কর্তাদের ভুল বোঝাবুঝি, ইনভেস্টর বাঙ্কারহিলের আইনি হুমকি, সব বিতর্ক মেটাতে সোমবার সন্ধেয় ক্লাব তাঁবুতে বৈঠকে বসেন কর্তারা। ছিলেন সভাপতি আমিরউদ্দিন ববি, সচিব ইশতিয়াক আহমেদ, কার্যকরী সভাপতি মুহাম্মদ কামরুদ্দিন, হাজী মুস্তাক আহমেদ সিদ্দিকিসহ ক্লাবের শীর্ষ কর্তারা। সেখানেই ঠিক হয়, প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার সাব্বির আলিকে এক্সিকিউটিভ কমিটিতে আনা হবে। পাশাপাশি দুই ইনভেস্টর বাঙ্কারহিল ও শ্রাচী গ্রুপের একজন করে সদস্যকে ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটিতে আনা হচ্ছে। এবং এক্সিকিউটিভ কমিটির বর্তমান দুই সদস্য সৈয়দ রহিম নবি ও শেখ আজিমকে এক্সিকিউটিভ কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই কমিটি। এদিকে মহামেডান ক্লাবের সহ সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হল শ্রাচী গ্রুপের কর্তা রাহুল টোডির নাম। ক্লাব সভাপতি আমিরউদ্দিন ববি জানালেন, ‘ক্লাবে একটা সমন্বয়ের অভাব তৈরি হয়েছে। ফুটবল দল সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই ইনভেস্টরের মধ্যে একটাভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। আর তার মাসুল গুনতে হচ্ছে ক্লাবকে। তাই সব ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে আমরা এবার ইনভেস্টরদের মধ্যে থেকেও এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ সবাই সবাইকে তাহলে কোনও বিষয় সম্পর্কে অবগত করতে পারবে। ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটি বৈঠক করে সে ব্যপারে একটা সমাধান সূত্র খুঁজে বের করতে পারবে।’
দলের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তার দায় অবশ্য ক্লাব ঠেলে দিচ্ছে বাঙ্কারহিলের দিকেই। পাশাপাশি সাদা কালো সভাপতি এও জানালেন, ‘নতুন ট্রান্সফার উইনডো খুললেই আমরা শ্রাচী ও বাঙ্কারহিলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব, কোন প্লেয়ারকে ছাড়া হবে, কাকে নেওয়া হবে।’ তবে বাঙ্কারহিলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ মহামেডান করেছিল সেটা যে অমূলক নয়, তা ব্যাখা করলেন সাদা কালো সভাপতি। জানালেন, ‘কিছু পেপার পাওয়া যাচ্ছিল না। সেটা শ্রাচী আমাদের জানিয়েছিল, তাই আমরা বাঙ্কারহিলের কাছে হিসেব চেয়েছিলাম। এটা পুরোটাই একটা সমন্বয়ের অভাব ছিল। কিন্তু এখন আর সেটা হবে না।’ এদিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রেক্ষিতে ঢাকা মহামেডানকে প্রীতি ম্যাচে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবছে কলকাতা মহামেডান।