বিশেষ প্রতিবেদক: ১৯৬৬ সালে ৫৮ বছর আগে যাত্রা শুরু হয় ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশে ইসকনের কার্যক্রম রয়েছে। তবে কিছু দেশে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে। বাংলাদেশেও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। তবে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশ হাইকোর্ট তাকে নিষিদ্ধ করছে না। তবে সংগঠনটিকে চোখে চোখে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা কোনও সন্ত্রাসী কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখছে ড. ইউনূস সরকার।
আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে ১৯৬৬ সালের ১৩ জুলাই যাত্রা শুরু হয় ইসকনের। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। মূলত কৃষ্ণকে কেন্দ্র করে তাদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ইসকনের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মন্দির নির্মাণ, ধর্মীয় উপদেশ দেওয়া, শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রচার, ভক্তি কার্যক্রম এবং দাতব্য সংস্থা পরিচালনা। অভাবীদের বিনামূল্যে নিরামিষ খাবারও বিতরণ করে থাকে ইসকন। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইসকন রাশিয়া এবং অন্যান্য প্রাক্তন সোভিয়েত রাজ্যে কাজ করতে সক্ষম হয়।
চিনে ইসকনের কার্যক্রমের অনুমতি নেই। ইসকনকে প্রকাশ্যে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয় না দেশটিতে। মালয়েশিয়ায়ও নিষিদ্ধ ইসকন। দেশটিতে ইসকনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ আছে। ইরানে ইসকনের ক্রিয়াকলাপের অনুমতি নেই। এছাড়া সউদি আরব ও আফগানিস্তানে ইসকনের কর্মকাণ্ডের অনুমতি নেই।
ইন্দোনেশিয়ায় আংশিক নিষিদ্ধ ইসকন। কিছু শর্ত মেনে দেশটিতে কার্যক্রম চালাতে পারে সংগঠনটি। এছাড়াও তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানে ইসকনের কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি জারি রয়েছে। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রাজিল, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, তাঞ্জানিয়া, উগান্ডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই ও ইসরাইলে ব্যাপক সক্রিয় ইসকন।