পুবের কলম প্রতিবেদক: বৃহস্পতিবারই রাঁচি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন করেন হেমন্ত সোরেন। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবারই ঝটিকা সফরে রাঁচি যাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শই দুপুর সাড়ে তিনটে রাঁচিতে হবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী ওই দিনই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফের কলকাতায় ফিরে আসবেন।
প্রসঙ্গত, ফের ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন হেমন্ত সোরেন। এই নিয়ে টানা দু’বার। এর আগে ঝাড়খণ্ডের কোনও মুখ্যমন্ত্রীই ভোটে জিতে পর পর দু’বার মসনদে বসেননি। নজির গড়েছেন হেমন্ত। এবার জেএমএম নেতার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫১টিতেই জয়ী হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এখানে মূল লড়াই ছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সঙ্গে ক্ষমতাসীন জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর ‘মহাজুটি’-এর।
ফল গণনা শুরু হতেই প্রথমে পিছিয়ে থাকলেও দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় ছবি। মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি জোট। রবিবার প্রথা মেনেই ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সন্তোষ গাঙ্গোয়ারের সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফাপত্র দেন একাধারে বিদায়ী এবং হবু মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। হেমন্ত সোরেনকে বিজেপি জেলে পাঠিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। বেশ কয়েকমাস জেল খাটতে হয়। জেলে থাকাকালীন হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে তাঁর দলের সিনিয়র নেতাকে ঝাড়খণ্ডের কুর্সিতে বসান। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সামনে এলো বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে হেমন্ত সোরেনকে জেলে পাঠিয়েছে। মানুষ বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দিয়েছে।