বৈরুত: ইসরাইলের ক্রমাগত হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। বিপর্যস্ত জনজীবন। এই আবহে কোনও আগাম সতর্কতা ছাড়া শনিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালায় খুনি ইসরাইল। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় শহিদ হয়েছেন ২০ জন। আহত ৬৬ জন। জানা গেছে, এদিন রাজধানী বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদি সেনা। নিমেষেই ধূলিসাৎ হয়ে যায় বহুতল ভবনটি। ভোরের নিদ্রার মধ্যেই চিরঘুমে চলে যায় বহু মানুষ। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ভোর ৪টা নাগাদ তীব্র বিস্ফোরণে পুরো শহর কেঁপে ওঠে। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো লেবাননের রাজধানীকে টার্গেট করেছে ইসরাইল। এমন এক সময়ে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে যখন মার্কিন দূত আমোস হোচস্টেইন ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য উক্ত অঞ্চলে সফরে ছিলেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিবৃতি জারি করে লেবানন স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ইসরাইলের এয়ার স্ট্রাইকে ৩৫০০ হাজার মানুষ শহিদ হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত কমপক্ষে ১২ লক্ষ। ঘটনা প্রসঙ্গে হিজবুল্লাহ নেতা আমিন শিরি বলেছেন, হামলার সময় সংগঠনের কোনও সদস্য ভবনের ভেতরে ছিল না। হামলায় আশেপাশের কয়েকটি ভবনের জানলা ভেঙে যায় এবং অনেক যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের দাবি, হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে হত্যার চেষ্টায় এই তাণ্ডব।
এদিন ইসরাইলের হামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আলী নাসের নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সংগঠনের একজনও যদি এখানে লুকিয়ে থাকে? তারজন্য কি গোটা ভবন উড়িয়ে দিতে হবে? ভবন খালি করার আগাম সতর্কতা দেবে না? যেখানে মানুষ ঘুমিয়ে আছেন, সেখানে এভাবে কি বোমা হামলা চালানো যায়? এক ব্যক্তির জন্য সবাইকে মেরে ফেলা কি জরুরি? নাকি আমরা মানুষ না। আমি এটা জানতে চাই।’