আবুল খায়েরঃ দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। পঠন পাঠন চালু হওয়ার পর প্রথমবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনে আসছে দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়ন সংস্থা ন্যাশানাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক)। এরপূর্বে পরিদর্শনের কথা থাকলেও তা শেষপর্যন্ত হয়নি। ন্যাকের স্বীকৃতি পেতে রাজ্য সংখ্যালঘু দফতর এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশসনের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৭, ধারা ৩(৩) অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনে একটি স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়।
জানা গেছে, ১৯ নভেম্বর ন্যাকের টিম পরিদর্শনে আসছে। ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ক্যাম্পাসের পঠন পাঠন ও সার্বিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখবে। এই পরিদর্শনের আগে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদাধিকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের আধিকারিকদের বৈঠক হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসের অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দফতরের সচিব পি বি সেলিম, আইএএস সাকিল আহমেদ, ওবাইদুর রহমান। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম ওহাব, রেজিস্ট্রার পারভীন আহমেদ, আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজের ডিন শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী, সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন নার্গিস আহমেদ-সহ অনান্যরা। বৈঠকের পাশাপাশি তাঁরা ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।
দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়ন সংস্থা ন্যাক পরিদর্শনে আসা প্রসঙ্গে পি বি সেলিম বলেন, ‘আট মাস আগে দায়িত্ব আমি নেওয়ার পর, আমরা চেষ্টা করেছিলাম ন্যাক পরিদর্শনে আসুক। নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকাশনা, নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। তারপর ন্যাক পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় এ গ্রেড পাবে বলেই আমরা আশা করছি।’
সংখ্যালঘু এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ন্যাকের স্বীকৃতি পেলে তাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কতখানি লাভবান হবে বলে তিনি মনে করছেন? এই প্রশ্ন উত্তরে পি বি সেলিম বলেন, ‘রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতি পেলে তা দেশের শিক্ষা মানচিত্রে নয়া সংযোজন হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল পরিকাঠামো এবং জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা গবেষণায় শিক্ষা জগতে নয়া উৎকর্ষতা সৃষ্টি করবে বলেই তিনি মনে করেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়ারা সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এই পরিদর্শনের।