কলকাতাMonday, 28 October 2024
  1. আজকের শিরোনাম
  2. ইতিহাস-ঐতিহ্য
  3. ক্রাইম
  4. খেলা
  5. জেলা
  6. দেশ
  7. ধর্ম ও দর্শন
  8. পর্যটন
  9. ফোটো গ্যালারি
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব-জাহান
  14. ব্লগ
  15. ভ্রমণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাইতুল-মাল এবং ওয়াকফকে আরও মজবুত করতে হবে: ইমরান

FAISAL HASAN
October 28, 2024 3:28 pm
Link Copied!

পুবের কলম প্রতিবেদক: ওয়াকফ ও বাইতুল-মাল মুসলিমদের দানের সম্পত্তি। এই সম্পত্তির অর্থ থেকে মুসলিমদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নানান কাজ হতে পারে। তাই এই দুই ক্ষেত্রকে মজবুত করতে হবে। রবিবার এক আলোচনাসভায় ওয়াকফ ও বাইতুল-মাল সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ কথাই উল্লেখ করেন রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ও পুবের কলম-এর সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান।

এ দিন সন্ধ্যায় একবালপুরের আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল বালিকা বিদ্যালয়ে ‘উন্নয়নে বায়তুল-মালের গুরুত্ব’ নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল ‘মাওলানা জওহরুল হুসাইনি বাইতুল-মাল, একবালপুর’ নামে একটি সংস্থা। সেই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আহমদ হাসান ইমরান। তিনি ছাড়াও অতিথি ও আলোচক ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও  সংস্কৃতি   বিভাগের প্রধান প্রফেসর কাজী সুফিউর রহমান, সিররি শক্তি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সমাজকর্মী আবদুল রহিম, সমাজসেবী প্রফেসর সালেহা বেগম, শিক্ষাব্রতী আনোয়ার প্রেমী, প্রফেসর পিঙ্কি ঈশা, প্রফেসর শামসুল আলম, আলাউদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।

আহমদ হাসান ইমরান বলেন, বাইতুল-মাল ইসলামি কনসেপ্ট। আগে রাষ্ট্রের মাধ্যমে বাইতুল-মাল দিয়ে সামাজিক কাজ করা হতো। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রশাসনের বদল হয়েছে, তাই সমাজিক সংস্থার মাধ্যমে কাজ হচ্ছে। সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাইতুল-মান বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। তিনি একইভাবে ওয়াকফ-এর গুরুত্ব নিয়েও আলোকপাত করেন। বর্তমানে কেন্দ্র সরকার ওয়াকফ আইন পালটে মুসলিমদের সম্পত্তি হাতাতে চাইছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, আমাদের বেশি বেশি করে সচেতন হতে হবে। বাইতুল-মাল ও ওয়াকফ নিয়ে অনেকেই হিসাব দিতে চায় না। এটা হলে হবে না। রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডে গেলে কিছুই জানতে পারা যায় না। আরটিআই করলেও সঠিক জবাব আসে না। খলিফা ওমরের যুগে সাধারণ মানুষ কিভাবে রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করতে পারত, তা তুলে ধরতে ওমরের বাইতুল-মাল বণ্টন সংক্রান্ত একটি ঘটনাও উল্লেখ করেন ইমরান। একইসঙ্গে বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে ওয়াকফ ও বাইতুল-মাল আমানত। তাই এই দুই ক্ষেত্রকে মজবুত করতে হবে।

অন্যদিকে আবদুল রহিম বাইতুল-মালের সঠিক ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, খলিফা ওমর-বিন আবদুল আজিজের সময় অর্থনীতি এমন ছিল যে যাকাত নেওয়ার লোক ছিল না। সেভাবে যদি আমরা বাইতুল-মাল ব্যাবহার করি তাহলে সমাজে কেউ দরিদ্র থাকবে না। এ দিনের আলোচনায় কাজী সুফিউর রহমান ইসলামে বাইতুল-মাল ও সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তার ধারণা কিভাবে পালটেছে তা তুলে ধরেন। তাঁর পরামর্শ, বাইতুল-মাল সংগ্রহ ও প্রকৃত উদ্দেশ্যে ব্যবহারের সুবিধার জন্য বড় আকারে উদ্যোগ নিতে হবে। শামসুল আলমও বাইতুল মালের সঠিক ব্যবহার নিয়ে সচেতনতার উপর জোর দেন।

একইভাবে মুসলিমদের আর্থ-সমাজিক উন্নয়নে বাইতুল-মালের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন অন্যান্যরাও। এ দিন ১২জন কৃতীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আয়োজক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আবু নাসের জানান, এই সংস্থা ৪১ বছর ধরে সমাজসেবামূলক নানান কাজ করে আসছে। টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না, এমন পড়ুয়াদের আমরা আগামীতে ভোকেশনাল কোর্স করিয়ে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই বছর চারজনকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে।