রফিকুল হাসান, শাসন: কেটেছে ডানার দুর্যোগ। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলছে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখার পালা। তেমনি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসত দুই বিডিওর নির্দেশে বিভিন্ন মাঠে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখলেন ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা।
বারাসত দুই ব্লকের শাসন গ্রাম পঞ্চায়েত, ফলতি বেলিয়াঘাটা, দাদপুর, কীর্তিপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে কয়েকশো বিঘা জমির ধান জলের তলায়, মাথায় হাত আমন ধান চাষিদের। এছাড়া জলের তলায় বিভিন্ন সবজির ক্ষেতও।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বিঘার পর বিঘা ধানের চারা জলের তলায়। জল জমে ধান গাছে শ্যাওলা ধরে গোড়া পচে নষ্ট। নতুন করে ধান রোপণ করতে গেলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ধানের বীজতলার যোগান পাওয়া মুশকিল।
অপরদিকে জমি লিজ নিয়ে ধার দেনা করে ধান চাষ করে বৃষ্টিতে নষ্ট ধান গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দাবি এইসব এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকায় ভারি বৃষ্টি হলে জল জমে চাষের দফারফা। তাই সরকারের কাছে চাষিরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বারাসত দুই ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা বিপ্লব বিশ্বাস বলেন আমাদের গোটা ব্লকের ৬৪৪০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেন কৃষকরা। এর মধ্যে এই দুর্যোগে প্রাথমিক রিপোর্টে ৫২২৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে শাসন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৯৮০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়।
শুধুমাত্র এই শাসন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৭৫৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি বেগুন, লঙ্কা, ক্যাপসিকাম চাষে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে। এরজন্য বাংলা শস্য বীমার মাধ্যমে কৃষকরা সঠিক প্রমাণ পত্র দেখালে ক্ষতিপূরণ পাবেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই বাংলা শস্য বীমার ফর্ম পূরণের সময়সীমা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িয়েছেন বলে তিনি জানান।
Read more: সজাগ পুলিশ, মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ফিরে পেল পরিবার
এই বাংলা শস্য বীমার মাধ্যমে কৃষকরা একাউন্টের মাধ্যমে ক্ষতিপূরন পাবেন বলে জানা গিয়েছে। এ ব্যাপারে বারাসাত দুই বিডিও শেখর সাই বলেন দুর্যোগের অব্যবহিত পরেই আমরা মাঠে নেমেছি। ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা নিজে কৃষি জমি গুলি ঘুরে দেখছেন। পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট যথাযত ভাবে পাঠানো হবে।