ম্যানিলা, ২৫ অক্টোবর: ফিলিপাইন্সে ঘূর্ণিঝড় ট্রামির আঘাতে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান। ‘ট্রামি’র দাপটে ফিলিপাইন্সের দেড় লক্ষাধিক মানুষ এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, দেশের উত্তর-পূর্ব উপকূলের স্থলভাগের কাছে ঝড়টি আছড়ে পড়ার কারণে এই অবস্থা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় ঘরবাড়ির ছাদে আশ্রয় নেওয়া মানুষকে বাঁচাতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
আরও পড়ুন: সদ্যজাতের নামকরণ হল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’- নামে, ওড়িশায় ত্রাণশিবিরে জন্ম ১৬০০ নবজাতকের
‘ট্রামি’ স্থানীয় ভাবে তীব্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ‘ক্রিস্টিন’ নামে পরিচিত।
ইসাবেলা প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডিভিলাকানে বৃহস্পতিবার আছড়ে পড়ে এই ঝড়। যার প্রকোপে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয় উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রবল বর্ষণে জায়গায় জায়গায় ভূমিধসও হয়। আকস্মিক বন্যায় বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।‘ট্রামি’র প্রভাব পড়েছে ফিলিপাইন্সের প্রধান দ্বীপ লুজোনের জনজীবনের উপরেও।
সমুদ্রের ঢেউ এসে ভাসিয়ে দিয়ে গিয়েছে উত্তর-পূর্বের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিকে। ফিলিপাইন্সের প্রেসিডেন্ট মার্কোস বলেন, ‘অনেক এলাকায় ভূমিধস হচ্ছে।
আমার মনে হয় সব এলাকার মাটিই পুরোপুরি সিক্ত হয়ে গেছে, পানির নেমে যাওয়ার জায়গা নেই। নাগা এবং লাগাজপি শহর থেকে অনেক হতাহতের খবর আসছে কিন্তু আমরা সেখানে এখনও যেতে পারিনি।’ ফিলিপাইন্সের সমুদ্র তীরবর্তী অনেকগুলি গ্রামের বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। ফিলিপাইন্সের আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ ৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়টি দক্ষিণ চিন সাগরের দিকে চলে গিয়েছে।
1 Comment
Pingback: কানাডায় পড়তে গেলে দু'বার ভাবনাচিন্তা করা উচিতঃ ভারতীয় হাইকমিশনার