তেলআবিব, ২৪ অক্টোবর: কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার ৬ জন সাংবাদিককে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
তাদের দাবি, এই ছয় সাংবাদিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের সদস্য। তবে আলজাজিরা আইডিএফের এসব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘অমূলক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে এই অভিযোগের নিন্দা জানিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, এমন অভিযোগ, গাজা যুদ্ধের সংবাদ প্রকাশ করছে এমন গণমাধ্যমের প্রতি ইসরাইলের ‘শত্রুতার’ বহিঃপ্রকাশ।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই আলজাজিরার সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ইসরাইলের।
আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের লক্ষ্যে চলতি বছরের ১ এপ্রিল ইসরাইলের পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলা হয়। ৭০-১০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। এরপর মে মাসে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটির সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ইসরাইল।
প্রায় এক মাস আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় আলজাজিরা অফিসে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী এবং এটি ৪৫ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। আলজাজিরার বিরুদ্ধে সবশেষ পদক্ষেপ হিসেবে এবার নতুন এ অভিযোগ আনলো ইসরাইলি বাহিনী। এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে আলজাজিরার ছয় সাংবাদিকের নাম ও ছবি শেয়ার করে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) বলেছে, তাদের কাছে এমন তথ্য আছে যা ওই সাংবাদিকদের হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের অপারেটিভ হিসেবে ‘প্রমাণ’ করতে পারবে।
আইডিএফ আরও বলেছে, তারা গাজায় পাওয়া গোয়েন্দা তথ্য এবং অসংখ্য নথি প্রকাশ করেছে, যা গাজার ছয় আলজাজিরা সাংবাদিকের হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের’ সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ নিশ্চিত করেছে।
যার মধ্যে রয়েছে কর্মীদের টেবিল, প্রশিক্ষণ কোর্সের তালিকা, ফোন ডিরেক্টরি এবং বেতনের নথিপত্র।
আইডিএফের দাবি, এসব নথিপত্র কাতারের আলজাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের মধ্যে ‘হামাস সন্ত্রাসীদের’ যুক্ত থাকা প্রমাণ করেছে।এক্স পোস্টে ইসরাইলি বাহিনী আরও বলছে, হামাসের সামরিক শাখার অপারেটিভ হিসেবে আইডিএফ যেসব সাংবাদিকের তথ্য প্রকাশ করেছে, বিশেষ করে যারা উত্তর গাজার তাদের বেশিরভাগই আলজাজিরাতে হামাসের পক্ষে প্রচারের নেতৃত্ব দিয়েছে।
1 Comment
Pingback: গাজার জীবন্ত নরককে খাটো করে দেখছে পশ্চিমারাঃ রাষ্ট্রসংঘে সরব চিন