উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: নির্যাতিতার ছাত্রীর মৃতদেহ নিয়ে কৃপাখালি এলাকা থেকে মহিষামারী পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত মিছিল গ্রামবাসীদের। সোমবার রাতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর কড়া পুলিশ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় এলাকায়।
মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহ নিয়ে কৃপাখালি এলাকা থেকে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত মিছিল করেন এলাকাবাসীরা। মিছিলের পর স্থানীয় একটি শ্মশানে শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয় কুলতলির চতুর্থ শ্রেণীর নির্যাতিতা ছাত্রীর। দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসীরা এই মিছিল করে বলে জানা গিয়েছে। এই মিছিলে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা।
মৃতদেহ নিয়ে এলাকাবাসীদের মিছিলের পর বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে গ্রামবাসীরা। প্রতীকী অবরোধের পর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি শ্মশানে। মৃত ছাত্রীর শেষকৃত্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মন্ডল।
এদিন মৃত নাবালিকাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। এছাড়াও শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বহু মানুষজন। কার্যত চোখের জলে তাদের গ্রামের মেয়েকে শেষ বিদায় জানালো এলাকায় মানুষেরা।
জয়নগরের এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে এলাকাবাসীরা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার টিউশন পরে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে এলাকার এক যুবক ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকার মানুষেরা।
এলাকার মানুষের দাবি দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি যেন ফাঁসি হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে ও অভিযুক্তের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় জয়নগর এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।