বিশেষ প্রতিবেদকঃ সোমবার সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুহাম্মদ গোলাম রব্বানির হাতে পুষ্পস্তবক এবং স্মারকপত্র তুলে দেন মামূন ন্যাশনাল স্কুলের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ ইয়াসীন। স্মারকপত্রটি এই সংস্থার চেয়ারম্যান জনাব মোস্তাক হোসেন-এর পক্ষ থেকে পাঠানো হয়। এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ এবং বক্তা সম্রাট মরহুম জনাব গোলাম আহমদ মোর্তজা। সম্প্রতি তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর মোস্তাক হোসেনের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে মন্ত্রী মহোদয় বলেন, তাঁর অনুপ্রেরণা ও সাহায্যে শত শত আবাসিক স্কুলে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষিত এবং উচ্চশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে গত ৩০ বছর ধরে। মামূন ন্যাশনাল স্কুলও ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য সেই কাজ করে চলেছে ১৬ বছর ধরে। এখানকার ছাত্ররা বিজ্ঞানী– ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ার– অফিসার হয়ে দেশসেবা করছে। আইআইটি কানপুরে রবিবার নিজের স্থান করে নিয়েছে এই স্কুলের ছাত্র মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম। সংখ্যালঘুদের দ্বারা কোচিংপ্রাপ্ত প্রথম সর্বোচ্চ র্যাঙ্কপ্রাপ্ত হয়েছিল (৫৮ র্যাঙ্ক রাজ্যে) এই স্কুলের ছাত্র জাভেদ আখতার। প্রথম বিজ্ঞানী যে ‘ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টারে’ গবেষণা এবং বিজ্ঞানী হয়ে দেশসেবা করছে সেই মফিজুর রহমান মোল্যাও মামূন ন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র।
মন্ত্রী মহোদয় বলেন, বাংলা মাধ্যমের আবাসিক স্কুল যতগুলি আছে সেই তুলনায় ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল প্রায় নেই বললেই হয়। সরকার বা তাঁর দফতর বেশ কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসা করেছে। কিন্তু সংখ্যালঘু সমাজের উচিত আবাসিক ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বেশি বেশি প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ ইয়াসীন জানান যে– মেমারিতে ছাত্রদের ক্যাম্পাসে প্রায় ৬০০ ছাত্র– পানাগড় গার্লস ক্যাম্পাসে এবং পান্ডুয়া হুগলির ক্যাম্পাসেও প্রায় ৬০০ ছাত্রী বিজ্ঞান ও কলা বিভাগে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। বেশিরভাগই আর্থিক সহায়তা নিয়ে পড়ছে। জনাব মোস্তাক হোসেন সাহেব প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পেয়ে এই কঠিন অথচ প্রয়োজনীয় কাজ করা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
সংবর্ধনা জ্ঞাপন করার সময় সাংসদ নাদিমুল হক এবং উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ উপস্থিত সেখানে ছিলেন। সম্পাদক মন্ত্রীকে জানান, মামূন ন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা দিনাজপুর– মালদহ– মুর্শিদাবাদ-সহ প্রায় সমস্ত জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।