পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘অন্নপূরাণি- দ্য গডেস অফ ফুড’ সিনেমাটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। লাভ জিহাদকে সমর্থন, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের মতো অভিযোগ উঠেছিল দক্ষিণী তারকা নয়নতারার ছবির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে সিনেমাটি। সিনেমাটি মূলত রান্নাকে কেন্দ্র করে নির্মিত। একজন মহিলা শেফের জীবনী।
ছবিতে নয়নতারার অভিনয় সকলের মন কাড়লেও, স্বঘোষিত হিন্দুত্ববাদীদের ‘চক্ষুশূল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে সিনেমাটি। কারণ সিনেমাতে হিন্দু দেবতা রাম’কে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে, ১৪ বছরের বনবাসের সময় রাম-সিতা মাংস ভক্ষণ করেছিল। এছাড়াও হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলের প্রেমের সম্পর্ক এই সিনেমাতে দেখানো হয়েছে।
যা হিন্দু ধ্বজাধারীদের নিজস্ব তৈরি ‘সংবিধান- লাভ-জিহাদের’ প্রচার। চারিদিকে বিতর্কের আবহে তামিল পরিচালক ভেত্রিমারান ছবিটিকে তার সমর্থন দিয়েছেন। সাধারণত রাজনৈতিকভাবে প্রাসঙ্গিক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পরিচিত তিনি। মিডিয়ার এক সাক্ষাৎকারে ভেত্রিমারান জানান, সবকিছুতে আজ রাজনীতি ঢুকে গেছে। কোনও কিছুর স্বাধীনতা নেই।
সিনেমাটি তেমন কিছু থাকলে সেন্সর থেকে মুক্তি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো না। এখন সিনেমা বানাতে গেলে ভয়ে ভয়ে বানাতে হয়। একটি সিনেমা সেন্সর বোর্ড থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরেও, বাহ্যিক চাপের কারণে প্রেক্ষাগৃহ এবং স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলি থেকে সরানো হল।
অভিনেত্রী নয়নতারা, পরিচালক নীলেশ কৃষ্ণা, প্রযোজক যতীন শেঠি এবং আর রবীন্দ্রন এবং নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার বিষয়বস্তু প্রধান মনিকা শেরগিল সহ সাতজনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন অনেকে। ১ ডিসেম্বর একাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল অন্নপূরাণি । তারপর গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে এটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং শুরু হয়। তারপর থেকেই নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় নেটিজেনরা। আগেও এই ছবি নিয়ে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেদুটি অবশ্য মুম্বইতে। সেখানে মামলা দায়ের করেছিল বজরং দল ও হিন্দু আইটি সেল। আর জবলপুরে মামলা দায়ের করেছে হিন্দু সেবা পরিষদ।