পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দু-চোখে স্বপ্ন, রঙিন দুনিয়ার হাতছানি, চট করে সেলেব হওয়ার ইচ্ছে ঠেলে দিচ্ছে বিপদের দিকে। অনেক সময় সেলেব দুনিয়ায় নিজের শক্ত ভিত তৈরি করতে না পারলেও, চাকচিক্য বজায় রাখতে তারা অপরাধ জগতের দিকে পা বাড়াচ্ছে। দিব্যা আহুজা নামে এক মডেলের দেহ উদ্ধার সমাজের সেই কালো দিকটাই ফের সামনে নিয়ে এল। মৃত্যুর প্রায় ১২ দিনের মাথায় এই মডেলের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৭ বছরের দিব্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে হোটেল মালিককে অশ্লীল ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করেছিল বলে তার এই পরিণতি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গত ২ জানুয়ারি হোটেল মালিক অভিজিৎ সিং, এক যুবতী ও আরেক ব্যক্তি হোটেল আসেন। ওই মডেল যে রুমে ছিলেন সেই রুমে ঢোকেন তাঁরা। বেশকয়েক ঘণ্টা পর হোটেল মালিকসহ অপর দুই যুবক একটি দেহ চাদরে মুড়িয়ে বের করে বিএমডব্লু গাড়িতে তুলে দেয়। গুরুগ্রামের একটি হোটেলে খুন করা হয়েছিল তাঁকে।অবশেষে হরিয়ানার একটি খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে তরুণীর দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি পঞ্জাবের ভাকরা খালে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই স্রোতে ভেসে সেটি হরিয়ানায় এসে পৌঁছেছে। হরিয়ানার তোহনা থেকে গুরুগ্রাম পুলিশের একটি দল মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। তরুণীর শরীরে থাকা ট্যাটুর মাধ্যমেই শনাক্ত করা হয়েছে দেহটি। দিব্যার পরিবারের কাছে ছবিটি পাঠানো হয়েছে, তারা মেয়ের দেহ শনাক্ত করে। তার পর ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বলরাজ গিল নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিমান ধরে পালানোর সময় তাকে পাকরাও করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে, ১ জানুয়ারি দিব্যাকে খুন করার পর ২৭০ কিলোমিটার দূরে পঞ্জাবের ভাকরা খালে দেহটি ফেলে দিয়ে এসেছিল অভিযুক্তরা।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের শুরুতেই গুরুগ্রামের একটি হোটলে খুন হন মডেল। ২০১৬ সালে তার প্রাক্তন প্রেমিক এবং গুরুগ্রামের গ্যাংস্টার সন্দীপ গাদোলির মিথ্যে এনকাউন্টারে জড়িত থাকার অভিযোগে দিব্যা পাহুজাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ৭ বছর জেলে থাকার পর গত বছরের জুনে তিনি জামিনে মুক্তি পান।