জয়পুর: একদিন, দু-দিন পেরিয়ে ৬ দিন হয়ে গেল। রাজস্থানের কাটপুতলির ৭০০ ফুট গভীর কুয়ো থেকে এখনও উদ্ধার করা গেল না ৩ বছর বয়সি একরত্তি চেতনাকে। না খেয়ে সে কীভাবে বেঁচে রয়েছে ভেতরে সেটাই বড় প্রশ্ন। তবে তাকে উদ্ধার করার ক্ষেত্রে ঢিলেমির অভিযোগ তুলেছেন চেতনার মা ঢোলি দেবি। মেয়েটি কোনও কালেক্টর সাহেবের আদরের কন্যা হলে কি এই উদাসীনতা, এমন দেরি কি হত? প্রশ্ন তুলেছেন অন্নজল ছেড়ে উপোসরত মা। বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য বারবার উদ্ধারকাজ বাধা পাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত চেতনাকে জীবিত পাওয়া যাবে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন কুয়োর পাশে খোঁড়া গর্ততে কেসিং পাইপ প্রবেশ করানো হচ্ছে। এরপর নব্বই ডিগ্রি কোণে হাতে খনন করে উদ্ধারকারীরা একরত্তির কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। চেতনাকে হুক দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা হয়েছে যাতে সে আরও গভীরে চলে না যায়। যদিও এনডিআরএফ বাহিনী জীবন-মৃত্যুর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কুয়োর মুখ খুবই সংকীর্ণ হওয়ায় বারবার সমস্যায় পড়ছে উদ্ধারকারী দল। দেশবাসী উদ্বেগ নিয়ে তাকিয়ে আছে ঘটনার দিকে। তবে এখন পর্যন্ত জেলা কালেক্টর অসহায় পরিবারটির সঙ্গে দেখা করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দুপুরে নিজেদের জমিতে খেলার সময় পা ফস্কে খোলামুখ গভীর কুয়োয় পড়ে যায় তিন বছরের চেতনা। ৭০০ ফুট কুয়োটির গভীরতা হলেও সে ১৫০ ফুট গভীরে আটকে বলে জানা গিয়েছে। পাশে একটি সমান্তরাল গর্ত করে উদ্ধার চেষ্টা চলছে। পাইপের সাহায্যে অক্সিজেন পাঠিয়ে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। বোরওয়েল রাজস্থান, হরিয়ানা, গুজরাতে জলসেচের জন্য ব্যবহৃত হত। এখন সেগুলি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই গভীর কুয়োগুলিতে মাঝেমধ্যেই শিশুরা পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল রাজস্থানে।