গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের একটি বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ জন ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই বালুর ঢিবিটি ইসরাইলের সামরিক বাহিনী তৈরি করেছিল। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, ইসরাইলের বুলডোজিং অভিযানের কারণে গাজা সিটি ও উত্তরের বেশ কয়েকটি এলাকায় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা বালুর ঢিবির নিচে ফিলিস্তিনিদের কবর দিয়েছিল তারা। উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়ায় ৩৭টি এবং গাজা শহরের শাতি শরণার্থী শিবিরে ২৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক কবর এখনও আবিষ্কূত হয়নি। কারণ ইসরাইলি অভিযানের কারণে ফিলিস্তিনিরা সে-সময় মৃতদের রাস্তায়, স্কোয়ার ও পাবলিক পার্কে কবর দিতে বাধ্য হয়েছিল। সিভিল ডিফেন্স টিম এবং মেডিক্যাল সদস্য সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ধ্বংসস্তূপ এবং বালুর ঢিবির নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
গাজার এই বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র বলেছেন, গাজায় ঝোড়ো আবহাওয়া গাজাজুড়ে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের কয়েক ডজন তাঁবু উড়িয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির জল অনেক তাঁবুকে প্লাবিত করেছে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের থাকার জন্য গাজায় জরুরিভাবে ১ লাখ ২০ হাজার তাঁবুর প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত গাজায় প্রবেশ করা তাঁবুগুলো সংখ্যাগত পরিমাণ বা মানের দিক থেকে ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করছে না এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা যেসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন সেগুলো মোকাবিলার জন্যও অনুপযুক্ত।’