মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভুমিধসের জেরে হিমাচল সহ একাধিক রাজ্যে গত ৩ দিনে ৫০ জনের মৃত্যু

- আপডেট : ২১ অগাস্ট ২০২২, রবিবার
- / 15
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফের বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, পাশাপাশি ঝাড়খন্ড, ওডিশা, উত্তরাখন্ডসহ বিভিন্ন রাজ্যে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির জেরে ভূমিধস ও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বৃষ্টিপাতের জেরে ধস এবং বন্যার ঘটনায় গত তিন দিনে অন্তত ৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।গত শুক্রবার হিমাচল প্রদেশে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির জেরে একই পরিবারের ৮ সদস্যসহ ২২ জন নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে উত্তরাখন্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জনের মত।রাজ্যের নদী গুলোর জল এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এই সব জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।ভূমিধস ও বৃষ্টির জেরে হিমাচলের মান্ডি, কাংড়া এবং চাম্বা জেলা গুলি সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রবল বৃষ্টিতে সেখানে ৩৬ জন মারা গিয়েছেন। ১২ জন গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন। বন্যায় ভেসে গিয়ে এখনও পাঁচ জন মানুষ নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে।
ওডিশায় মহানদী অববাহিকা সংলগ্ন এলাকায় বন্যার কারণে ৫০০ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ইতিমধ্যেই এই গ্রাম গুলির প্রায় ৪ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে নতুন করে বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে স্থানীয় প্রশাসন।এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে ঝাড়খন্ড রাজ্যে একাধিক জায়গায় গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে।পশ্চিম সিংভুমে একটি মাটির বাড়ির দেওয়াল ধসে এক মহিলা নিহত হয়েছেন।
একইভাবে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির জেরে শুক্রবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় বৈষ্ণোদেবী যাত্রা সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আপাতত কয়েকদিনের জন্য এইসব বিপর্যস্ত এলাকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ভুমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিমাচলে আপাতত বন্ধ থাকবে পর্যটন। সেখানে আটকে পড়া পর্যটকদের আপাতত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।