৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৮ ঘন্টায় বর্ষার প্রবেশ কেরলে, বঙ্গে জারি তাপপ্রবাহ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৭ জুন ২০২৩, বুধবার
  • / 24

পুবের কলম প্রতিবেদক: নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে গেলেও বাংলায় দেখা নেই বর্ষার। আবহাওয়াবিদদের মতে, এখনও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে বঙ্গবাসীকে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কেরলে প্রবেশ করবে বর্ষা। মূলত কেরলে বর্ষা শুরু হওয়ার পরেই তা বাকি রাজ্য গুলিতে প্রবেশ করে। এখন রাজ্যে যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে তাতে এবার বর্ষা বেশ কয়েক দিন পরে ঢুকবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অনুকূল পরিস্থিতি না থাকার কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে দেরিতে।

 

কবে বর্ষার অগ্রগতি হবে, তা নিয়ে একেবারেই স্পষ্ট নয়। আপাতত প্রবল গরমই সঙ্গী বঙ্গবাসীর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১০ জুন পর্যন্ত ১৪ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। বাকি জেলায় ভ্যাপসা গরম। আরও গুমোট হবে রাত।

শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া এবং হুগলিতে।  তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে এই জেলাগুলিতে।

 

একইভাবে উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা থাকবে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহারও আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশে লু বইবে। শিলিগুড়ি বাগডোগরাতেও তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকবে শনিবার পর্যন্ত।

 

প্রসঙ্গত, আরব সাগরে আবার সোমবার যে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল, মঙ্গলবার সেটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নাম ‘বিপর্যয়’। নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। এই ঘূর্ণিঝড় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়ে ক্রমশ গুজরাট উপকূলের দিকে এগোবে।

১৭০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি বেগে এই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে। তবে কোথায় ল্যান্ডফল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরব সাগরেই বন্দি থাকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। আর তাতেই বাংলায় বর্ষার পৌঁছতে দেরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূল হতে আরও অন্তত ১-২ দিন লেগে যাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৪৮ ঘন্টায় বর্ষার প্রবেশ কেরলে, বঙ্গে জারি তাপপ্রবাহ

আপডেট : ৭ জুন ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে গেলেও বাংলায় দেখা নেই বর্ষার। আবহাওয়াবিদদের মতে, এখনও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে বঙ্গবাসীকে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কেরলে প্রবেশ করবে বর্ষা। মূলত কেরলে বর্ষা শুরু হওয়ার পরেই তা বাকি রাজ্য গুলিতে প্রবেশ করে। এখন রাজ্যে যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে তাতে এবার বর্ষা বেশ কয়েক দিন পরে ঢুকবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অনুকূল পরিস্থিতি না থাকার কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে দেরিতে।

 

কবে বর্ষার অগ্রগতি হবে, তা নিয়ে একেবারেই স্পষ্ট নয়। আপাতত প্রবল গরমই সঙ্গী বঙ্গবাসীর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১০ জুন পর্যন্ত ১৪ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। বাকি জেলায় ভ্যাপসা গরম। আরও গুমোট হবে রাত।

শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া এবং হুগলিতে।  তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে এই জেলাগুলিতে।

 

একইভাবে উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা থাকবে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহারও আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশে লু বইবে। শিলিগুড়ি বাগডোগরাতেও তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকবে শনিবার পর্যন্ত।

 

প্রসঙ্গত, আরব সাগরে আবার সোমবার যে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল, মঙ্গলবার সেটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নাম ‘বিপর্যয়’। নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। এই ঘূর্ণিঝড় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়ে ক্রমশ গুজরাট উপকূলের দিকে এগোবে।

১৭০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি বেগে এই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে। তবে কোথায় ল্যান্ডফল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরব সাগরেই বন্দি থাকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। আর তাতেই বাংলায় বর্ষার পৌঁছতে দেরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূল হতে আরও অন্তত ১-২ দিন লেগে যাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।