পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: টানা ১০ দিন। উদ্ধার হলেও বাঁচানো গেল না তাকে। নানা কৌশল অবলম্বন করে অবশেষে বুধবার ৭০০ ফুট কুয়ো থেকে উদ্ধার হলেও বাঁচানো যায়নি ওই শিশুকে। উদ্ধারের পর তড়িঘড়ি ওই শিশুকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে জীবিত আছে না মৃত, তা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলেও পরে হাসপাতালের তরফে ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শুনতে অবাক লাগলেও টানা ১০ দিন ধরে কুয়োবন্দি ছিল রাজস্থানের ওই ছোট্ট খুদে।
উল্লেখ্য, রাজস্থানের কোটপুতলি-বেহরুর জেলার বাসিন্দা তিন বছরের চেতনা। গত সোমবার দুপুরে বাড়ি লাগোয়া একটি জমিতে খেলতে খেলতে আচমকা ওই কুয়োতে পড়ে যায় সে। কুয়োর মুখটি উন্মুক্ত থাকার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রথমে বিষয়টি শিশুটির বাবা-মা বুঝতে না পারলেও পরে চেতনার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু কুয়োটি বেশ গভীর ও মুখটি সংকীর্ণ হওয়ায় তাঁকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন তারা। খবর দেওয়া হয় পুলিস আধিকারিক ও দমকলের কর্মীদের। তারাও অসফল হয়। তারপর নিষিদ্ধ র্যাট-হোল খননকারী দল ওই শিশুটিকে উদ্ধার করল।
কুয়োটির গভীরতা প্রায় ৭০০ ফুট। তবে ১৫০ ফুট গভীরের কোনও জায়গাতেই শিশুটি আটকে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বারবার এহেন ঘটনার পরেও কেন বন্ধ হচ্ছে না উন্মুক্ত কুয়ো? কেন প্রশাসনিক অবহেলার শিকার হচ্ছে চেতনার মতো ছোট্ট প্রাণ গুলি? কেন কিছু না করেও অনেক কিছুর শাস্তি পেতে হচ্ছে তাদের? উঠছে প্রশ্ন।