পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পথ নিরাপত্তার পাশাপাশি শহর কলকাতায় দূর্ঘটনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ সহ বিভিন্ন পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকেও ‘পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ’, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসুচি পালন করা হয়।
বেপরোয়া গতির জেরে দূর্ঘটনা এবং প্রাণহানী রুখতে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় স্পিড ব্রেকার, স্পিডোমিটার বসানো হয়েছে।এমনকী দূর্ঘটনাপ্রবণ বিভিন্ন এলাকাগুলিতে ব্ল্যাক স্পট জোন চিহ্নিত করার পাশাপাশি জনবহুল এলাকায় বসানো হয়েছে বুম ব্যারিয়ার।তারপরেও কলকাতার রাস্তায় বেপরোয়া বাইক সহ অন্যান্য গাড়ির দৌরাত্ম্য নিয়ে চিন্তিত কলকাতা পুলিশ। খোদ পুলিশের দেওয়া তথ্য বলছে বেপরোয়া গতির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ছারাও কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরাও।
বেপরোয়া গতির ফলে কলকাতার সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে লালবাজারের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে কলকাতায় সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৫৯ জনের। কিন্তু২০২৪ সালে মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছিল ১৯১ জনে। অর্থাৎ শতাংশের নিরখে ২০২৪ সালে মৃত্যুর হার বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
এ ব্যাপারে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার দাবি, ‘কলকাতা পুলিশের আওতায় ভাঙড় ডিভিশন যুক্ত হওয়ায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমাতে যা যা করণীয়, সবই করা হচ্ছে।’ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করার পাশাপাশি নজরদারি এবং প্রচারমূলক কর্মসূচি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন সিপি।
যদিও লালবাজার সূত্রের খবর, শহরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু তালিকার ৮০ শতাংশই বাইকচালক। আর এই মৃত্যুর মউল কারণ হিসেবে নেপথ্যে উঠে আসছে হেলমেটহীন চালক এবং বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো। এমনকী অনেক ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র পুলিশের চোখ এড়িয়ে ফাইন না দেওয়ার কারণে অনেক বাইক চালক বা আরোহী সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী আইএসআই সার্টিফায়েড হেলমেট ব্যবহার করেন না। এ ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য,বাইক বা স্কুটি চালকদের মাথায় হেলমেট থাকলেও তা সড়ক নিরাপত্তা বা গুণমানের নিরিখে কার্যকরী নয়। ফলে গুণমান সম্পন্ন হেলমেট না থাকায় বাড়ছে প্রাণহানীর ঘটনাও।