বিশেষ প্রতিবেদক: তিব্বতের প্রত্যন্ত এলাকায় মঙ্গলবার শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে অন্তত ১২৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত শতাধিক। ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে গেছে। ৬.৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। চিনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ওই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিল নেপাল সীমান্তের কাছে তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি।
সিইএনসি ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৮ বললেও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.১ ছিল বলে জানিয়েছে। ডিংরি কাউন্টি ও এর আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পন অনুভূত হয়েছে এবং ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থলের (এপিসেন্টার) কাছের বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে।
সকালের ওই ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চলে একাধিকবার আফটার শক অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে ডিংরি কাউন্টির শহরতলিগুলোতে লোক পাঠানো হয়েছে। তিব্বত অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু এই কাউন্টিতে প্রায় ৬২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এটি মাউন্ট এভারেস্টের চীনা অংশে অবস্থিত।
এই অঞ্চলে নিয়মিত ভূমিকম্প হয়। তবে গত ৫ বছরে ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আজকের ভূমিকম্পই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। এদিকে কাঠমান্ডুর পাশাপাশি এভারেস্টের নিকটবর্তী নেপালের লোবুচের অঞ্চলের চারপাশের উচ্চ পর্বতমালায় কম্পন ও ভূমিকম্প পরবর্তী পরাঘাত অনুভূত হয়েছে।