৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লুধিয়ানার কারখানায় গ্যাস লিক করে প্রাণহানি ১১ জনের, ট্যুইট করে শোকজ্ঞাপন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার
  • / 5

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লুধিয়ানার গিয়াসপুরের একটি কারখানায় গ্যাস লিক করে কমপক্ষে ১১ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ এই ঘটনায় কারখানা সহ আশেপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আরও ১১ জনকে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান কারখানার পাশে একটি মুদির দোকানের সবজি রাখার ফ্রিজ থেকে গ্যাস লিক করে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের নাম সৌরভ(৩৫), বর্ষা(৩৫), আরিয়ান (১০), ছুলা (১৬), অভয় (১৩), কল্পেশ(৪০), নীতু দেবী, নবনীত কুমার। বাকিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান ঘটনা নিয়ে ট্যুইট করে রাজ্যবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনাকে দুঃখজনক অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ এবং আহতের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে পঞ্জাব সরকার।
লুধিয়ানা পুলিশ কমিশনার জানিয়েছে, ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এনডিআরএফ গ্যাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়েছে। নিহতের রক্তের নমুনাও নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গ্যাস শ্রমিকদের ফুসফুসে নয়, মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলেছিল। এনডিআরএফ-এর ৩৫ জনের একটি দল গ্যাসের নমুনা পরীক্ষা করে দেখছেন। এনডিআরএফ ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) নরেন্দ্র বুন্দেলা বলেছেন, গ্যাসের উৎস চিহ্নিতকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

লুধিয়ানার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাতী তিওয়ানা বলেছেন, ‘জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালায়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি। এনডিআরএফ ঘটনার তদন্ত করছে। কারখানার আশেপাশের মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে মেডিক্যাল টিম।
লুধিয়ানার ডেপুটি কমিশনার সুরাভি মালিক বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কিছু গ্যাসের মিশ্রণের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। ম্যানহোলে মিথেনের সঙ্গে অন্য কোনও রাসায়নিকের বিক্রিয়া ঘটে থাকতে পারে। এনডিআরএফ নমুনা জোগাড় করছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে।”

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লুধিয়ানার কারখানায় গ্যাস লিক করে প্রাণহানি ১১ জনের, ট্যুইট করে শোকজ্ঞাপন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর

আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লুধিয়ানার গিয়াসপুরের একটি কারখানায় গ্যাস লিক করে কমপক্ষে ১১ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ এই ঘটনায় কারখানা সহ আশেপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আরও ১১ জনকে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান কারখানার পাশে একটি মুদির দোকানের সবজি রাখার ফ্রিজ থেকে গ্যাস লিক করে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের নাম সৌরভ(৩৫), বর্ষা(৩৫), আরিয়ান (১০), ছুলা (১৬), অভয় (১৩), কল্পেশ(৪০), নীতু দেবী, নবনীত কুমার। বাকিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান ঘটনা নিয়ে ট্যুইট করে রাজ্যবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনাকে দুঃখজনক অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ এবং আহতের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে পঞ্জাব সরকার।
লুধিয়ানা পুলিশ কমিশনার জানিয়েছে, ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এনডিআরএফ গ্যাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়েছে। নিহতের রক্তের নমুনাও নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গ্যাস শ্রমিকদের ফুসফুসে নয়, মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলেছিল। এনডিআরএফ-এর ৩৫ জনের একটি দল গ্যাসের নমুনা পরীক্ষা করে দেখছেন। এনডিআরএফ ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) নরেন্দ্র বুন্দেলা বলেছেন, গ্যাসের উৎস চিহ্নিতকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

লুধিয়ানার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাতী তিওয়ানা বলেছেন, ‘জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালায়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি। এনডিআরএফ ঘটনার তদন্ত করছে। কারখানার আশেপাশের মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে মেডিক্যাল টিম।
লুধিয়ানার ডেপুটি কমিশনার সুরাভি মালিক বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কিছু গ্যাসের মিশ্রণের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। ম্যানহোলে মিথেনের সঙ্গে অন্য কোনও রাসায়নিকের বিক্রিয়া ঘটে থাকতে পারে। এনডিআরএফ নমুনা জোগাড় করছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে।”