৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মলদ্বীপে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ১০, মৃতদের মধ্যে ৯ জন ভারতীয়, এক বাংলাদেশি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 8

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মলদ্বীপের রাজধানী মালের একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এদের মধ্যে ৯ জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি বলে বলে প্রাথমিক তদন্তে খবর। বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের থাকার অস্থায়ী একটি জায়গায় এই ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে।

মলদ্বীপের ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, ভারতীয় নাগরিকদের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তবে কতজন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে খবর, আগুন লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মলদ্বীপ সরকার।’

মলদ্বীপে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ১০, মৃতদের মধ্যে ৯ জন ভারতীয়, এক বাংলাদেশি

অরবিন্দ বাগচি আরও জানান, ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলেছে।   ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয়দের সবরকম সাহায্য করছে ভারতের হাইকমিশন।”

মলদ্বীপে ভারতের হাই কমিশনের তরফে বিবৃতি জারি নিহত ও আহত ভারতীয়দের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।  এছাড়াও দুটি হেল্প লাইন চালু করেছে ভারতীয় হাই কমিশন।

মলদ্বীপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিদেশমন্ত্রী এস জয় শংকর একটি ট্যুইট করে লিখেছেন, মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহ  সহিদ ফোন করেছিলেন।  শোক বার্তা জানানোর পাশাপাশি সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিয়ে মলদ্বীপ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারতীয় হাই কমিশন।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মলদ্বীপের রাজধানী মালের একটি হোটেলে বিধ্বংসী আগুন লাগে, আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের, এর মধ্যে ৯ জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি। বড়িটিতে মূলত ভারত ও বাংলাদেশ-সহ বাইরের দেশ থেকে আসা শ্রমিকরা থাকতেন। আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বাড়িটি।  উপরের তলা থেকে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা ভারত ও বাংলাদেশ থেকে মলদ্বীপে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাড়ির নীচের তলায় একটা গাড়ি সারাইয়ের গ্যারাজ ছিল। সেখানেই আগুন লাগে। ক্রমশ তা পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।

দমকলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, চার ঘণ্টার চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তারা মোট ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছেন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মলদ্বীপে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ১০, মৃতদের মধ্যে ৯ জন ভারতীয়, এক বাংলাদেশি

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মলদ্বীপের রাজধানী মালের একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এদের মধ্যে ৯ জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি বলে বলে প্রাথমিক তদন্তে খবর। বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের থাকার অস্থায়ী একটি জায়গায় এই ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে।

মলদ্বীপের ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, ভারতীয় নাগরিকদের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তবে কতজন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে খবর, আগুন লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মলদ্বীপ সরকার।’

মলদ্বীপে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ১০, মৃতদের মধ্যে ৯ জন ভারতীয়, এক বাংলাদেশি

অরবিন্দ বাগচি আরও জানান, ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলেছে।   ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয়দের সবরকম সাহায্য করছে ভারতের হাইকমিশন।”

মলদ্বীপে ভারতের হাই কমিশনের তরফে বিবৃতি জারি নিহত ও আহত ভারতীয়দের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।  এছাড়াও দুটি হেল্প লাইন চালু করেছে ভারতীয় হাই কমিশন।

মলদ্বীপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিদেশমন্ত্রী এস জয় শংকর একটি ট্যুইট করে লিখেছেন, মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহ  সহিদ ফোন করেছিলেন।  শোক বার্তা জানানোর পাশাপাশি সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিয়ে মলদ্বীপ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারতীয় হাই কমিশন।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মলদ্বীপের রাজধানী মালের একটি হোটেলে বিধ্বংসী আগুন লাগে, আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের, এর মধ্যে ৯ জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি। বড়িটিতে মূলত ভারত ও বাংলাদেশ-সহ বাইরের দেশ থেকে আসা শ্রমিকরা থাকতেন। আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বাড়িটি।  উপরের তলা থেকে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা ভারত ও বাংলাদেশ থেকে মলদ্বীপে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাড়ির নীচের তলায় একটা গাড়ি সারাইয়ের গ্যারাজ ছিল। সেখানেই আগুন লাগে। ক্রমশ তা পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।

দমকলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, চার ঘণ্টার চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তারা মোট ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছেন।