বেইরুট, ২ অক্টোবর: ডিভাইস বিস্ফোরণ ও বিমান হামলা চালানোর পর লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছিল ইসরাইল। সূত্রের খবর, দক্ষিণ লেবাননের একটি শহরে ঢোকার সময় হিজবুল্লাহর প্রবল প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। হিজবুল্লাহ জানায়, বুধবার সূর্যোদয়ের সময় ইসরাইলি পদাতিক বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের ওদাইশেহ শহরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের তীব্র হামলার মুখে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। স্থলপথে হামলা চালানোর ঘোষণার পরই তিনটি এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে কামানের গোলাবর্ষণ করে ইসরাইল। এর মধ্যে একটি এলাকা হল ওদাইশেহ। এরকম আরও বেশ কয়েকটি এলাকাকে ইসরাইলি বাহিনীর লেবাননে ‘প্রবেশের‘ পথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর পর দুই পক্ষের মুখোমুখি সংঘাতের ঘটনা এটাই প্রথম। ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, সোমবার রাতে তাদের ৯৮তম এলিট ডিভিশনের সেনারা লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে। এই ডিভিশনটি দুই সপ্তাহ আগেও গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়ছিল। ইসরাইল জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন গ্রামে বিমান ও গোলন্দাজ বাহিনীর সহযোগিতায় ‘সীমিত, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর’ বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ জানায়,  ‘ও নাসরাল্লাহ! আমরা তোমার সেবায় আছি’ স্লোগান দিয়ে মঙ্গলবার ইসরাইলি গোয়েন্দা ইউনিট ৮,২০০ এবং গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দফতরে একাধিক ‘ফাদি–৪’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এটি ছিল ইসরাইলে চালানো হিজবুল্লাহর সবচেয়ে বড় হামলা। হিজবুল্লাহর হামলার কারণে লক্ষাধিক ইসরাইলি নাগরিক বোমা শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।  হিজবুল্লাহ বলেছে, শ্তুলা, মেতুল্লা, আভিভিম এবং রোশ পিনা বসতিতে ইসরাইলি সেনাদের জমায়েত লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও দখলদার সেনাদের লক্ষ্য করে ডেভিভ ব্যারাক এবং রোশ পিনা বসতিতেও আঘাত হানা হয়েছে।